অনলাইনে রিপোর্ট করতে পারছে না বাণিজ্যিক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ভোগান্তিতে
জাফর আহমদ :বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনলাইন কার্যক্রমে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক রিপোর্র্টিংয়ে পিছিয়ে রয়েছে। এক বছরের অধিক সময় ধরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তাগাদা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন রিপোর্টিং সিসটেমের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। ফলে কেন্দ্রিয় ব্যাংক অনেক গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট সময় মত তৈরি করতে পারছে না।
ঋণপত্র (এলসি) খোলা, আমদানি রফতানি কার্যক্রমের প্রতিবেদন দাখিল, কৃষি ঋণ বিতরন, এসএমই ঋণসহ বিভিন্ন প্রকার ঋণ বিতরন, ক্লাসিফাইড ঋণ পরিস্থিতিসহ বাণিজ্যিক ব্যাংককের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণমূলক কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং প্রতিবেদন ভিত্তিতে অর্থনীতির অবস্থা নিরুপণ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু সময় মত তথ্য না পাওয়া পাওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। এ ধরনের তথ্য পেতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ধরণ ভেদে এক থেকে তিন বছর ধরে নির্দেশদনা দিয়ে আসছে।
ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এসএমই ঋণ বিতরণের প্রতিবেদন তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে থেকে তথ্য না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক গত আড়াই মাসেও এমএমই ঋণের প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেনি। প্রতি মাসের কৃষিঋণ বিতরণের প্রতিবেদন তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সঠিক সময়ে প্রতিবেদন না পাওয়ার ফলে আগের মাসের প্রতিবেদন তৈরি করে পরের মাসের ১৫ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে। একইভাবে ক্লাসিফাইড ও অবলোপনকৃত ঋণের প্রতিবেদন তৈরি করা হয় ত্রৈমাসিক মাসিক ভিত্তিতে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সময়মত তথ্য না পাওয়ার কারণে এ প্রতিবেদন তৈরি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সময় লাগে দেড় থেকে দুই মাস।
ড্যাস বোর্ডে আমদানি, রফতানি ও আমদানি-রফতানির অপ্রত্যাবশিত তথ্য সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তথ্যের ভিত্তিতে রফতানিমূল্য ও এলসি’র অর্থের বিপরীতে বিদেশি পণ্য দেশে আসা পর্যবেক্ষণ করে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনলাইনে নির্ভরভাবে প্রতিবেদন না দেওয়ার কারণে প্রায় ভোগান্তিতে পড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্পাদনা: রফিক আহমেদ