যেসব ভুলে স্বপ্নের সলিল সমাধি!
এস আর আলিফ
‘আমাদের কিছু খেলোয়াড় তরুণ, কিছু অভিজ্ঞ। আবার আমরা ভালোভাবে ফিরে আসব। আমাদের আরও শিখতে হবে। আমাদের দক্ষতা ঠিক আছে। তবে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হতে হবে। বাদ বাকি সবই ঠিক আছে’ সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হারের পর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ক যথার্থ পয়েন্টটিই ধরেছেন। আমাদের খেলোড়দের দক্ষতা আছে কিন্তু মানসিক দৃঢ়তাটা হয়তো প্রত্যাশার পর্যায়ে নেই। আমরা খেলছি ভালো। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারছি না সবসময়। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটার কথাই ধরা যাক। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে দুই উইকেট হারালাম। কেন হারালাম? আমাদের অস্থির মানসিকতার কারণেই। সৌম্য সরকার, তাকে নিয়ে কত আশা। অথচ তিনি তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারলেন না। ব্যাটিংয়ের সময় তার মানসিক দৃঢ়তার অভাব পরিলক্ষিত হয় অনেক বেশি। কোথায় যেন তার ভয়। এমন ভয়, দৃঢ়তাহীন মানসিকতায় আর যাই হোক ক্রিকেট খেলা যায় না। বিপরীত চরিত্র সাব্বির রহমানের। তার মধ্যে সাহসী একটা, কিছু একটা করে দেখানোর মানসিকতা দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে কী করলেন তিনি সেমিফাইনালে। সাব্বির রহমানকে ঘিরেও কত আশা থাকে ক্রিকেট ভক্তদের। সমর্থকদের। কিন্তু তিনি নিরাশা উপহার দিলেন দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে। অথচ তিনি যখন মাঠে নামেন, তার যে ব্যাটিং পজিশন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্বশীল ব্যাটিং এই পজিশন থেকে আশা করে সবাই। একইসঙ্গে বড় ইনিংস। কিন্তু সেমিফাইনালে তিনি যেভাবে ব্যাট চালালেন মনে হলো কয়েক ওভারেই তিনশ করে ফেলবেন! তার দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে দল বিপদে পড়ল আরও। এমনটি হলে সামনের দিনে আরও বিপদ আছে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছি আমরা। এটা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য বড় অর্জন। ক্রিকেটারদের কল্যাণেই এই অর্জন আমাদের হয়েছে। তবে ক্রিকেটাররা এটাও নিশ্চয়ই জানেনÑ কিছু ছোট ছোট ভুল তাদেরকে অনেক বড় কিছু থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। যেভাবে এগোচ্ছিলাম আমরা তাতে ৩২০ রান অসম্ভব ছিল না। আর তিনশ রান সবসময়ই যেকোনো দলের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তার উপর এটা সেমিফাইনাল ম্যাচ। চাপ ভারতের উপরই ছিল। কে জানে তিনশ রান করতে পারলে হয়তো আমরা স্বপ্নের ফাইনালটি খেললেও খেলতে পারতাম। ফাইনাল শিরোপা হয়তো তখন আমাদের সীমানার মধ্যেই থাকত।
লেখক: কলামিস্ট/সম্পাদনা: আশিক রহমান