চলুন, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াই
মাহফুজ আল মাদানী
প্রবাদে আছে, ‘উত্তম মানুষ সে যে, মানুষের উপকার করে’। মানুষ সামজিক জীব। সমাজ ছাড়া একাকি বসবাস করতে পারে না। সমাজের সকলের সঙ্গে উঠাবসা, চলাফেরা, সহযোগিতা করা, সহযোগিতা নেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজে নিজেকে টিকিয়ে রাখে। অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে আলাদা। এজন্যই তো মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। সৃষ্ঠির সেরা জীব। অন্যের সুখে দুঃখের সাথী হবে। এটাই স্বভাব।
হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.) এর মাধ্যমে মানবজাতির সৃষ্টি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘হে মানবজাতি, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও’ -(সুরা আল হুজুরাত:১৩)। এদিক থেকে বিশ্বের সকল মানুষ পরস্পর ভাই ভাই। তাই এক ভাইয়ের উচিত অন্য ভাইয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা। অন্যের জীবন রক্ষার্থে সাধ্যাতীত প্রচেষ্টা করা। এক্ষেত্রে আল্লাহ কারও জীবন রক্ষার্থে বলেন, ‘যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে’ -(সুরা আল মায়িদা: ৩২)। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই, সে তার প্রতি জুলুম করে না এবং তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় না। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজনে সাড়া দেয়, আল্লাহ তায়ালা তার প্রয়োজনে সাড়া দেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের একটি বিপদ দূর করবে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার একটি বিপদ দূর করবেন’। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত তার বান্দাকে সহযোগিতা করেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সহযোগিতা করে’। কবিরাও কবিতার মাধ্যমে গেয়েছেন মানবতার মহান গান। কামিনী রায় বলেন, ‘আপনার লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে, সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’
লেখক: প্রিন্সিপাল, কোরানিক এরিনা, সিলেট। এমফিল গবেষক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট/সম্পাদনা: আশিক রহমান