‘সেমিতে খেলার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে’
এম এ রাশেদ : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে খেলার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের টুর্নামেন্টে কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সফল মিশন শেষে গতকাল শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বসেরার লড়াই বলে কথা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার হিসাব করলে বিশ্বকাপের চেয়েও এগিয়ে রাখতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে। কারণ বিশ্বের সেরা ৮ দলই কেবল খেলার সুযোগ পায় এই টুর্নামেন্টে। ২০০৬ সালের পর প্রথমবার সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই আসরে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু করে দেখিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে টপকে জায়গা করে নিয়েছিল সেমিফাইনালে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার চোখে তাই এই অর্জন অনেক বড়। সেটা এমনকি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোর্য়ার্টার ফাইনাল খেলার অর্জনের চেয়েও বেশি!
দুই বছর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছে। এ দুইটার মধ্যে কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লাল-সবুজের এ অধিনায়ক বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে কামব্যাক করার সুযোগ ছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেটা ছিল না। তাই দেশে ফিরে নিজেদের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে সন্তুষ্টিই ঝরেছে মাশরাফির কন্ঠে। তিনি এটাও বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন ট্রফির অর্জন আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে।
বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করে ইংল্যান্ডের আসরকে এগিয়ে রাখলেন তিনি এই বলে, ‘বিশ্বকাপ তো বিশ্বকাপই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিচারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভীষণ কঠিন। ওখানে গ্রুপ পর্ব পেরোনোই অনেক কঠিন। সেই জায়গায় আমরা সেমিফাইনাল খেলেছি। সেই হিসেবে আমি দুই বছর আগের (২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল) অর্জনের চেয়ে এবারের সাফল্যকে এগিয়ে রাখব।’
গত আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে বাংলাদেশ সøগ ওভারে বেশি রান করতে পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, হ্যাঁ, এট ঠিক যে, আমরা শেষদিকের ওভারগুলোতে তেমন একটা রান করতে পারছি না। এ জায়গাগুলোতে আরো বেশি কাজ করতে হবে।
সাকিব ও রিয়াদের প্রশংসাও ঝরল মাশরাফির মুখে। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব ও রিয়াদ দলের বিপর্যয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করায় আমরা সেমিফাইনালে খেলতে পেরেছি।
ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বারবার খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার কথা বলেছেন। দেশে ফেরার পরও বললেন একই কথা, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা আরও বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। বড় ম্যাচে কীভাবে নিজেদের মেলে ধরতে হয়, সেই জায়গায় উন্নতি করতে হবে আরও।’
একই সঙ্গে তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন মাশরাফি। দুই বছর পর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে বসবে। এখন যারা দলে তরুণ আছে ততদিনে তারা আরো বেশি পরিণত হবে। এবারের অভিজ্ঞতা তাই দলের এখনকার তরুণদের সঙ্গে দলের প্রত্যেকেরই ভীষণভাবে কাজে লাগবে। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সাফল্যের পথ ধরে বিশ্বকাপে ভালো করার আশাও প্রকাশ করলেন দেশসেরা এ অধিনায়ক। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ