৪৬ বছর পরে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন অমুক্তিযোদ্ধা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : কৃষ্ণগোপাল রায়। অবসর প্রাপ্ত যুগ্ম সচিব। এলাকার ছেলে বুড়ো সবাই জানেন তিনি একজন গোল্ডমেডেল প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার আগে, উনসত্তুরের গণআন্দোলনের সময় থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
জানা গেছে, তৎকালীন এম এন এ রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ ভোলা মিয়ার প্রত্যয়নপত্র আছে। তৎকালীন এমপি আবুল হোসেনের প্রত্যয়নপত্র রয়েছে তার। পাশাপাশি গেজেট, লালবাই ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সনদ আছে। ৪৬ বছর ধরে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে চাকুরি জীবনে তিনি বারবার পদোন্নতি বঞ্চিত হন। কিন্তু এত কিছুর পরও ৪৬ বছর পরে আজ তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন।
অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে লালমনিরহাট জেলায় মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ে পক্ষপাতিত্বের বিরোধিতা করায় বেআইনিভাবে তাকে যাচাইয়ে ডেকে শুধুমাত্র বক্তব্য চেয়ে তার কাছে কোনো প্রমাণপত্রাদি না চেয়ে বিদায় করে দিয়ে তালিকায় সংগঠক ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন পুরো সময় ধরে বাবা-মা, ভাইবোনের খোঁজ বাদ দিয়ে তার শ্রম, মেধা ও সময় ব্যয় করেন মুক্তিযুদ্ধের পিছনে। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। অস্ত্রহাতে সম্মুখ যুদ্ধে না গেলেও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাই। সেই একাত্তর সাল থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত, মুক্তিযোদ্ধা বিধায় তার সাথীরা সচিব পর্যন্ত পদে পদোন্নতি পেলেও তাকে স্বাধীনতার বিপক্ষের সরকারের আমলে পদোন্নতি না দিয়ে মাত্র ৬ মাসের জন্য যুগ্ম সচিব করে অবসরে পাঠানো হয়। সেই কৃষ্ণগোপাল রায়কে এবার বাছাই করা হয়েছে ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়’ হিসাবে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু