নোবেল বক্তৃতা টুকেছেন ডিলান!
ডেস্ক রিপোর্ট: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বব ডিলানের। পুরস্কার গ্রহণ নিয়ে দীর্ঘ নাটকের পরে, এবার তাঁর বিরুদ্ধে নোবেল বক্তৃতা টোকার অভিযোগ উঠল। গত বছর ডিসেম্বরের নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না ডিলান। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। দীর্ঘ টালবাহানার পরে এ বছর এপ্রিল মাসে, লোকচক্ষুর আড়ালে স্টকহলমে সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্যদের হাত থেকে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক পুরস্কারজয়ীকেই বক্তৃতা পাঠাতে হয়। তবেই পুরস্কার বাবদ নির্ধারিত অর্থ মেলে। ৯০ কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কারের জন্য ১০ জুনের মধ্যে বক্তৃতা জমা দেওয়ার কথা ছিল ডিলানের। সেই মতো ৬ জুন নোবেল কমিটিকে নিজের বক্তৃতার একটি লিঙ্ক পাঠান তিনি। তাতে ‘?মবি ডিক,’? ‘?দ্য অডিসি’? এবং ‘?অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’র এই তিনটি বই তাঁর জীবনে সবচে বেশি প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন। নিজের মতো করে বইগুলি থেকে বেশ কিছু উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন তিনি। তাতেই গোল বেঁধেছে। বক্তৃতাটি সামনে আসার পরেই তেড়ে ওঠেন ব্লগার বেন গ্রিনম্যান। ডিলানকে বিদ্রুপ করে লেখেন, ‘মবি ডিকের উদ্ধৃতির সারাংশ টুকে মেরে দিয়েছেন ডিলান।’? অনলাইন প্রকাশনী সংস্থার অ্যান্ড্রিয়া পিৎজারও ডিলানকে একহাত নেন। সাহিত্য ও দর্শন সংক্রান্ত ‘?স্পার্কনোটস’? ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বইগুলির সারাংশ থেকে লাইনগুলি টোকা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ‘?মবি ডিক’? থেকে ডিলান যে ৭৮ লাইন তুলেছেন, তার মধ্যে ২০টিই নাকি ‘?স্পার্কনোটস’? থেকে নেওয়া। অভিযোগ প্রমাণ করতে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সারাংশের একটি লিঙ্কও পোস্ট করেন তিনি।
১৯৯৯ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা ‘?স্পার্কনোটস’? ওয়েবসাইটটি চালু করেন। সাহিত্য, কবিতা, ইতিহাস এবং দর্শন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় সেখানে। যাতে পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাইস্কুলের পড়ুয়ারা সেখান থেকে উত্তর জোগাড় করতে পারে।