৮৪ সালের নির্বাচনি সীমানায় ফিরতে চায় বিএনপি
কিরণ সেখ: ১৯৮৪ সালের নির্বাচনি সীমানায় ফিরতে চায় বিএনপি। এজন্য নির্বাচনি আসনগুলো পুনর্বিন্যাস করে করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চায় দলটি।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসি কার্যালয়ে প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের এ অবস্থান জানায়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, , সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ করে ১৯৮৪ সালে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংসদীয় আসন অনুযায়ী, ১৯৮৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সব সংসদীয় আসন নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের আপত্তি ছিল না।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, ২০০৮ সালের আগে যেসব সংসদীয় আসন নিয়ে নির্বাচন হতো সেই মোতাবেক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নিধারণের জন্য আমরা সিইসি’র কাছে দাবি জানিয়েছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা বললেন, আমরা কিছুটা পরিবর্তন করতে চাই।
তিনি অভিযোগ করেন, ১/১১ সরকারের সময় যে নির্বাচন কমিশন ছিল তাদের কাছে কোনো দল বা গোষ্ঠী বা সুশীল সমাজ কারো কোনো দাবি ছিল না। কোনো দাবি না থাকা সত্ত্বেও তারা নিজেরা যে পুনর্বিন্যাসটা করেছে তাতে অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে।
বিএনপি এ নেতা বলেন, ইসির হাতে নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নিধারণের ক্ষমতা আছে। তাই ১৩৩টি আসনে যে অসামঞ্জস্যতা আছে তা দূর করে ৩০০ আসন পুনর্বিন্যাস করার জন্য আমরা কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সীমানা পুনর্নিধারণ নিয়ে কথা হয়েছে। সীমানা পুনর্নিধারণ নিয়ে তারা ১৯৮৪ সালের যে সীমানা পুনর্নিধারণ করা হয়েছিল, সেই নীতিতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে এবিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদেরও কিছু চিন্তা-ভাবনা থাকবে। আমাদের যে নির্বাচনি রোডম্যাপ আছে সেখানে সীমানা পুনর্নিধারণের বিষয়টি আছে। এ বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করবো।
তবে সিইসি বলেন, আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারব না যে, আমরা ৮৪ তে থাকবো। ২০০৮ সালে যেটা ছিল সেটায় থাকবো না কী ২০১৪ এর নির্বাচনে যেটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ব্যবহার করবো। তবে হ্যাঁ, সীমানা পুনর্নিধারণের ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পরিবর্তন আনতে চাই।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুর রশীদ সরকার ও ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সিইসির সাথে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসোন চৌধুরী, ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্। সম্পাদনা-হুমায়ুন কবির খোকন