বাবা জিন্দেগি মেরি!
মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম
বরাবরই ভাবি আর বাস্তবেও ফিল করি, আমার বাবা-ই এ পৃথিবীর এক সেরা বাবা। এত বৃদ্ধ হবার কাছাকাছি বয়সেও মাশাআল্লাহ সেই সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি কাজ করেই চলেছেন। শুধু টাইম মতো আমাদের মুখে আহার তুলে দেবার জহ্য। মনে পড়ে বাবা আমার ভাইবোনদের মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার, আনা-নেওয়ার, টিফিন তৈরি, ব্যাগ গোছানো, পড়াশোনা তো রয়েছেই। সবকিছু বাবা-ই করতেন আর আজ অবধিও আমাদের সব ভাইবোনের জন্য করেন। আর করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধও করেন।
এত বড় হয়েছি তবুও আজ অবধি নিজের আমরা কচিরা দুমুটো ভাত খাইনি নিজ হাতে। বাবা-ই আদর করে মায়া ডাক দিয়ে খাইয়ে দেন। যে কেউ আমাদের বাসা দেখলে অটোমেটিকই বুঝতে পারবে আমাদের আব্বু কতটা গোছানো। বাড়ির, ঘরের আলমারির প্রতিটি জিনিস আজও নিজ হাতে পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখেন প্রতিনিয়ত। ঘুমোতে যেয়ে রাত্রে যখন বালিশে কানটা লাগাই তখন মাঝে মাঝে ভাবি, বাবা আমার এতকিছু একসঙ্গে করেন কী করে! আমার বাবা হচ্ছেন সূর্যের মতো, শুধুই আলো ছড়ান। আর সে আলোয় আলোকিত আমি। আমরা।
আলহামদুলিল্লাহ্! আজ পর্যন্ত আমার সব ভালো কাজের পেছনে রয়েছে বাবার ধৈর্য আর সাধনা। দোয়া ও ভালোবাসা। আর তা হবে নাই বা কেন, বাবা যে আমার পৃথিবী। তিনি ছাড়া যে আমার আর আশ্রয়স্থল নেই? নেই কোনো শান্তির নিকেতন। তাই তো বলি পৃথিবীর সব বাবাগুলো বেঁচে থাকুক অনেকদিন। সুখেও থাকুক চিরকাল। সে প্রত্যাশায় আজ এটুকুই। (শেষ)
লেখক: কলামিস্ট
সম্পাদনা: আশিক রহমান