স্বামী আত্মস্থানন্দ প্রয়াত, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতার
ডেস্ক রিপোর্ট : শনিবার থেকেই বাড়ছিল উদ্বেগ। রবিবার সব শেষ। প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজ। বার্ধক্যজনিত রোগের কারণে ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ। ছিল কিডনির সমস্যাও। শনিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। দুপুরেই মঠের পক্ষ থেকে জানানো হয় শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। রবিবার সন্ধ্যায় আসে দুঃসংবাদ। ৯৮ বছর বয়সে প্রয়াত মহারাজ। শোকের ছায়া ভক্তদের মধ্যে। এবিপি
রোববার দুপুরে স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজকে দেখতে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহারাজের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে টুইটারে শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘দুপুরেই দেখতে গিয়েছিলাম। সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ। তার প্রয়াণে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি। তার প্রয়াণ আমাদের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। আর্তের সেবা ও দুঃস্থর কল্যাণে তার অবদান অনস্বীকার্য।’
আত্মস্থানন্দের প্রয়াত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। গুজরাতে থাকাকালীন একসময় আত্মস্থানন্দের কাছে আসতেন যুবক নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তিনি সংসার ত্যাগ করে আশ্রমে যোগ দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দকে। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আত্মস্থানন্দজি মহারাজ তাকে নিরস্ত করেন এবং বলেন, ‘তোমাকে দেশের অনেক কাজ করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কলকাতায় আত্মস্থানন্দের সঙ্গে দেখাও করেছেন মোদি। এদিন প্রয়াণের খবর পেয়ে শোক জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজ মহাপুরুষ ছিলেন। বহু প্রজন্ম তার অবদানের কথা মনে রাখবে। যখনই কলকাতায় যেতাম, তখনই তার আশীর্বাদ নিতাম।’স রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার সারা রাত এবং সোমবার সারা দিন স্বামী আত্মস্থানন্দের দেহ রাখা থাকবে বেলুড় মঠে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ