আইএস দমনে মসুলে ইরাকি বাহিনীর বিশেষ অভিযান
প্রিয়াংকা পান্ডে: রোববার থেকে সন্ত্রাসীগোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর কর্তৃত্ত সরাতে মসুলের পুরনো শহরে অভিযান শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইরাকি বাহিনী জানিয়েছে, মসুলে আইএসের একমাত্র ঘাঁটি। এ ঘাঁটি ধংস করাই বিশেষ অভিযানের মূল লক্ষ্য।
জেলাটির পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ বাহিনী ও দক্ষিণাঞ্চলের দিকে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে।
এর আগে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ঘনবসতিপূর্ণ পুরনো মসুলে প্রায় এক লাখ বেসামরিক নাগরিক আটকে আছে। সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে পালিয়ে আসা বাসিন্দারা সেখানকার ভয়াবহ অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে অনেক মানুষ খাবার ও পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, মসুলের পশ্চিমাঞ্চলে গত দুই সপ্তায় অন্তত ২৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিমান ও রকেট হামলায় এবং বাকিরা পালানোর সময় আইএস জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছে। এদিকে ইরাকি বাহিনী বিবিসিকে জানায়, পুরনো শহরের ভেতরে কতজন আইএস সদস্য রয়েছে, তারা তা জানে না। অভিযান সম্পর্কে ইরাকি বাহিনীর সহকারী লেফটেনেন্ট জেনারেল আব্দুলগনি আসাদি জানান, ‘‘অভিযানটি ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি আইএস’র শেষ খেলা হতে যাচ্ছে। এটি আমাদের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা তারাও যথেষ্ট চেষ্টা করবে প্রাণ বাঁচানোর কারণ তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
প্রায় নয় মাস ধরে মসুল পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে ইরাকি বাহিনী। লড়াই শুরুর পর এখন পর্যন্ত শহরটির আনুমানিক ৮ লাখ ৬২ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়েছে।
তবে এই বিশেষ অভিযানটি ঈদের আগে শেষ হওয়ার আশার রাখছেন আসাদি। ২৫ বা ২৬ রোজার মধ্যে সবকিছু শেষ করে ঈদের খুশি আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে পরিস্থিতি অনুকূল না হলে আরো সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি। বিবিসি ও আরব নিউজ