কোথাও যানজট, কোথাও যানবাহন সংকট
ফারুক আলম : রাজধানীর কোথাও তীব্র যানজট, কোথাও যানবাহন সংকট। এভাবেই প্রতিনিয়ত চলতে নগরবাসীর জীবন। আবার গতকাল সকালের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়ে অফিসযাত্রীরা বিকেলে পড়েছেন পরিবহন সংকটে। পরিবহনের অভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পরিবহন সংকটে পড়ে ইফতারের আগে ঘরে ফেরার অনিশ্চিতায় পড়েছেন রোজাদাররা। গতকাল রাজধানীর পল্টন মোড়, শাহবাগ, ধানমন্ডি ৩২ ও ফার্মগটেসহ অন্যান্য বাসস্টপের একই চিত্র দেখা গেছে। সাধারণত সামান্য বৃষ্টি হলেই রাজধানীর সড়ক, মহাসড়ক, অলিগলি তলিয়ে যায়। শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যানজটের এ নগরীর যানজট বেড়ে যায় কয়েকগুণ। গতকাল এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রায় ২ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ও গলিপথ। সৃষ্টি হয় জলজট, সঙ্গে অসহনীয় যানজট। এর মধ্যে অনেক এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসার লাইন স্থাপনসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নমূলক কাজের কারণে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। ফলে পানিতে এসব গর্ত ডুবে নগরবাসীর জন্য পরিণত হয় মরণ ফাঁদে। প্রেসক্লাবের সামনে বাসের জন্য লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অসংখ্য যাত্রী। অধিকাংশ বাস আসছে ভর্তি যাত্রী নিয়ে। কিছুক্ষণ পর বিআরসিটির বাস আসার সাথেই সেখানে ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন যাত্রীরা। কিন্তু এতে অনেক যাত্রী বাসে উঠতে পারেন না। কারণ বাসের ভেতর আগে থেকেই উপচে পড়া যাত্রী ছিল। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আকলিমা আকতার নেতা বলেন, রোজা রেখে অফিস শেষে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা খুবই কষ্টকর।
আধাঘণ্টা হল এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি কিন্তু বাসে উঠতে পারলাম না। এ জন্য ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে পাবলিক বাস বাড়াতে হবে।
মিরপুরের বাসায় ফেরার জন্য ফার্মগেটে অপেক্ষা করছিলেন হেদায়েতুল্লাহ নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবি। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে রাজধানীবাসী লোকাল-সিটিং জাঁতাকলে পড়ে আছে। এর মধ্যে পরিবহনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে বাস মালিকরা। বৃষ্টি শেষে অফিস থেকে বেরিয়ে মিরপুর যাবো।
কিন্তু কোনো বাস পাচ্ছি না যেসব বাস আসছে সেসব যাত্রীতে পরিপূর্ণ, বাসের গেটেও যাত্রী ঝুলে আছে। এর উপর আবার যুক্ত হয়েছে বৃষ্টি বিড়ম্বনা।