বৈধ ভিসা থাকলেই ঋণ দেবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
মৌসুমী রায় : পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন নিয়ে অনেকেই পাড়ি দিতে চান বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে। এজন্য কেউ কেউ শেষ সম্বল জমিজমা বিক্রি করেন, আবার কেউ কেউ ভিটেমাটি বন্ধক রাখেন। তবে এখন আর সেদিন নেই। এখন বিদেশ যাওয়ার জন্য ঋণ দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। মূলত বিদেশে যাওয়ার জন্য বেকার লোকদের ঋণ দিতেই ২০১১ সালে গঠন করা হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিবছর এই ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণকারী বাড়ছে। প্রতিষ্ঠার প্রথম ৩ বছরে ব্যাংকটি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন বিদেশগামী ৬ হাজার কর্মী, ৬ বছরের মাথায় যা বেড়ে ৪ গুণ হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। ভিসা থাকলে ঋণ দেওয়া হবে ভিসার মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে। ঋণের পরিমাণ ১ থেকে ২ লাখ টাকা। ঋণের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর। বৈধ ভিসার পাশাপাশি বিদেশগামী কর্মীকে যে কোম্পানি কাজ দেবে বা নিয়োগ করবে, সেই কোম্পানির নিয়োগপত্র লাগবে। লাগবে সত্যায়িত ৩ কপি ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ, পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। আরও লাগবে স্থানীয় বা ঘনিষ্ঠ এক বা একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত জামিননামা। ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনের ৩ দিনের মধ্যে ঋণের প্রক্রিয়া শেষ করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আবেদনকারীকে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) দিয়ে জানিয়ে দেয়। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া- এসব দেশের ক্ষেত্রে ২ বছর, তবে সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে এক বছর।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদরে মুনির ফেরদৌস বলেন, প্রতিষ্ঠার ৬ বছরে মোট ২৪ হাজার জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ২৩০ কোটি টাকার মতো এবং আদায়ের হার ৯০ শতাংশ। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন বর্তমানে ১০০ কোটি টাকা। গত ১৭ এপ্রিল ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫০ কোটি টাকার একটি চেক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডির কাছে তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ