সিলেট বিভাগের ১৮ উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
বিশেষ প্রতিনিধি : সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়-টিলার পাদদেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে শত শত পরিবার। সিলেট জেলার ৭ টি উপজেলায় মৌলভীবাজার জেলার ৫টি হবিগঞ্জ জেলার ৪টি সুনামগঞ্জ জেলার ২টি উপজেলার পাহাড়ি টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন বসবাস করে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। তবে ঠিক কতটি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে এরকম সঠিক কোনো তথ্য নেই জেলা প্রশাসনের কাছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর উপকণ্ঠসহ সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে সহস্রাধিক পরিবার বসবাস করছে। এসব পরিবারগুলোর প্রায় দশ হাজার লোক রয়েছে ঝুঁকিতে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় পাহাড় ধসে শতাধিক লোকের প্রাণহাণির পর সিলেটেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গত বুধবার সিলেটের পাহাড় টিলাবেষ্টিত উপজেলাগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী লোকদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিয়ে সমাবেশ করেন। পাহাড়ি জমি অধিকাংশ সরকারি তদারকি থাকলেও ভূমিখেকো,ভূমিহীন ও মাটি খেকোরা দখল ও পাহাড় কাটা গাছ চুরি রহস্যজনক কারণে অব্যাহত করে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক(অতিরিক্ত)রাজস্ব, আশরাফুল ইসলাম খান জানান পাহাড়ি সকল এলাকাজুড়ে নিরাপদ দূরত্বে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।কত পরিবার বাস করেন এমন তথ্য জানা নেই।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, পাহাড়-টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে কি পরিমাণ লোক বাস করছে, কোন উপজেলায় এ সংখ্যা কত এসব ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে। এদের পুণবার্সনের কোনো উদ্যোগ নেই।
এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার বলেন, টিলার নিচে ঝূঁকিপূর্ণভাবে বসরবারতদের কোনো পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। তবে জেলার আটটি উপজেলায় ঝুঁকি নিয়ে কিছু পরিবার বসবাস করার তথ্য রয়েছে। তাদের সরিয়ে নিতে আমরা হত ২০ জুন থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান