সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের একাংশের ছাদে ফাটল নথি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা, দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের নির্দেশ
এস এম নূর মোহাম্মদ : সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসের পশ্চিমপাশে তৃতীয় তলায় প্রশাসনিক অংশের একটি কক্ষের ছাদে বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া বৃষ্টি হলে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসেও ছাদ থেকে পানি পড়ে। ছাদ থেকে চুইয়ে পানি পড়ে প্রধান বিচারপতির কোর্টের বারান্দার অংশেও। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, আপাতত পানি পড়া বন্ধের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এর স্থায়ী সমাধানের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত ২০ জুন চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স্র ভবনের পশ্চিম পাশে খালি জায়গায় প্রস্তাবিত ১২ তলা আদালত ভবন নির্মাণে দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট শাখা সমূহে প্রয়োজনীয় স্থান না থাকায় প্রত্যেক শাখায় বিপুল পরিমাণ নথি কক্ষের মেঝে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। যার কারণে এসব নথি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া প্রায়ই নথি খোঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।এছাড়া প্রতিনিয়ত মামলা দায়ের থেকে সহজেই বুঝা যায়, নতুন স্থানের ব্যবস্থা না করা হলে ভবিষ্যতে এসব নথি সংরক্ষণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
চিঠিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে ৯৩ জন বিচারপতি। যাদের সবার জন্য পৃথক চেম্বারের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে কোন কোন চেম্বারে দুই জন বিচারপতিকে একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিদের জন্যও চেম্বার সংকট। এছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত এজলাসের অভাব রয়েছে। আর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া মামলা নিষ্পত্তির জন্য ভবিষ্যতে অধিক সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। তবে সে সময় এজলাস সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল ভবনের সংস্কার এবং নতুন আদালত ভবন নির্মাণে দ্রুত কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া প্রধান বিচারপতি নেদারল্যান্ড সফরে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে বিষয়টি আইনমন্ত্রীকেও অবহিত করেন। সে অনুযায়ী আইনমন্ত্রী ও আইন সচিব গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান। সম্পাদনা-হুমায়ুন কবির খোকন