বিবিসির প্রতিবেদন আন-নুরি মসজিদ ধ্বংসের কারণ
রাশিদ রিয়াজ : মসজিদটি বিখ্যাত সুন্নি মসজিদ হিসেবে পরিচিত। খ্রিস্টান ক্রুসেডরদের বিরুদ্ধে জিহাদে নেতৃত্বদানকারী মুসলিম শাসক নুর আল-দিন মাহমুদ জঙ্গি এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই মসজিদটি আইএস সন্ত্রাসীদের নেতা বাগদাদি সিরিয়া ও ইরাকে খেলাফত ঘোষণার জন্যে বেছে নেয়। কিন্তু গত ৩ বছরে আইএস সন্ত্রাসীরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলে মুসলিম, খ্রিস্টান ধর্মাবম্বীদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি চরম অসন্মান দেখিয়ে আসছে।
৯ মাস আগে আইএস সন্ত্রাসীরা আন-নুরি মসজিদটির চারপাশে বিস্ফোরক সংযুক্ত করে। কারণ ইরাকে যৌথ বাহিনী আইএস সন্ত্রাসীদের ক্রমশ কোনঠাসা করে অগ্রসর হচ্ছিল। অধিকাংশ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মসুল হারানোর চরম পরিণতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই ক্রোধ প্রকাশ করতে আইএস সন্ত্রাসীরা মসজিদটিকে বেছে নেয়। আইএস দাব করছে মসজিদটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় বিনষ্ট হয়েছে। এটা অসম্ভব মনে হয় কিন্তু মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্যে বিপদজনক যে সংগ্রাম চলছে এবং এতে নিয়োজিত কারো পক্ষে শহরটির সংস্কৃতি ও ধর্মীয় উপসানলায় রক্ষার করার মত বিষয়ে নজর রাখা সম্ভব নয়।
বিবিসি’র আরেক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তুরস্কের মুসলিম নেতা নুর আল-দিন মাহমুদ জঙ্গি মসুল ও আলেপ্পোর শাসক থাকাকালে তারই নির্দেশে ১১৭২ সালে মসজিদটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর মাত্র দুই বছর পর তিনি মারা যান। মুসলিম শাসক হিসেবে নুর আল-দিন তখনকার মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে খ্রিস্টান ক্রুসেডরদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তার ২৮ বছরের শাসনামলে তিনি বর্তমান সিরিয়ার রাজধানী দামাসকাস জয় করেন। এবং এ জয়ের মধ্যে দিয়ে সুলতান সালাউদ্দিনের সফলতার ভিত্তি গড়ে ওঠে। মিসরে সুলতান সালাউদ্দিন তার সেনাপতি ছিলেন এবং আইয়ুব শাসনামলের ভিত্তি রচনা করেন। ১১৮৭ সালে জেরুজালেম সুলতান সালাউদ্দিন পুনঅধিকার করেন। সম্পাদনা : হাসান আরিফ