শিশুদের রোজা
হুমায়ুন আইয়ুব
শিশুরা বড়দের অনুসরণ করে থাকে। বড়দের নামাজ, রোজা ও ইবাদত শিশুমনে প্রভাব ফেলে। ফলে শিশুকাল থেকেই শিশুদের রোজার প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। সাহাবিরাও তাদের সন্তানদের রোজার প্রশিক্ষণে অভ্যস্ত করতেন। রুবাই বিনতে মুআওয়েয ইবনে আফরা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. আশুরার সকালে মদিনার আশপাশে আনসারদের এলাকায় (এই ঘোষণা) পাঠালেন, যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় সকাল শুরু করেছে, সে যেন তার রোজা পালন সম্পন্ন করে। আর যে ব্যক্তি বে-রোজদার হিসেবে সকাল করেছে সে যেন বাকি দিনটুকু রোজা পালন করে। এরপর থেকে আমরা আশুরার দিন রোজা পালন করতাম এবং আমাদের ছোট শিশুদেরকেও রোজা রাখাতাম। আমরা (তাদের নিয়ে) মসজিদে যেতাম এবং তাদের জন্য উল দিয়ে খেলনা তৈরি করে রাখতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে সেই খেলনা দিয়ে ইফতারের সময় পর্যন্ত সান্ত¡না দিয়ে রাখতাম। (সহীহ বোখারি) উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু রমজান মাসে এক মদ্যপকে বলেছিলেন, ‘তোমার জন্য আফসোস! আমাদের ছোট শিশুরা পর্যন্ত রোজাদার!’ এরপর তাকে প্রহার করা শুরু করলেন। (বোখারি)
শিশুর সক্ষমতা অনুভব করলেই বাবা-মা তাকে রোজার রাখার প্রতি উৎসাহ দিবেন। আলেমদের কেউ কেউ এ সময়কে ১০ বছর বয়স থেকে নির্ধারণ করেছেন।
রোজা পালন শিশুর জন্য উপকারীও বটে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুর রোজা পালনে ধৈর্য ও মানসিক শক্তি বাড়ে। শিশুর রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। শরীরের খারাপ পদার্থগুলো কিডনি, অন্ত্র দিয়ে বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়। শিশুর মনও ইমানের রঙ্গে রঙিন হতে থাকে। তাই সেই আদর্শ সন্তানের কল্যাণ পেতে ইসলামের অনুসরণ অনুকরণ জরুরি। ইসলামি বিধানমতো শিশুটিকে লালন করতে পারলে এ সুফল লাভ করা সম্ভব। আর শিশুকে গড়ার বা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অন্যতম মাস হলো পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে অন্যান্য কাজ একটু কমিয়ে শিশুর জীবন গঠনেও ভূমিকা রাখতে হবে।
যড়সধঁহধুঁন@ুধযড়ড়.পড়স