তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেই ধ্বংস হবে পৃথিবী বিস্ফোরক দাবি চিনা ধনকুবেরের
ডেস্ক রিপোর্ট : চিনা ধনকুবের ও ব্যবসায়ী জ্যাক মা স্পষ্ট জানালেন, পৃথিবী এখন ধ্বংসের মুখে। কিন্তু কী কারণে তছনছ হয়ে যেতে পারে আমাদের গ্রহ? উত্তরে ই-কমার্স সংস্থা আলিবাবার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, প্রযুক্তির উন্নয়নই পৃথিবীর শেষ ডেকে আনবে। প্রযুক্তির চাপে চাকরির বাজারে নেমে আসবে তীব্র মন্দা, যার ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে এবং পৃথিবীর অন্তিম লগ্ন এসে উপস্থিত হবে। সংবাদ প্রতিদিন
সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যাক বলেছেন, ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটের জন্য চাকরি হারাতে পারেন বহু মানুষ। তাই বিশ্বনেতাদের উচিত, এখনই মানুষকে সেই বিষয়ে সচেতন করা ও তাদের দুঃখ ভাগ করে নেওয়া। তিনি বলছেন, ‘প্রযুক্তির জোয়ার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ডেকে এনেছিল। দ্বিতীয়বার প্রযুক্তির বিপ্লব ডেকে এনেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ইতিমধ্যেই তৃতীয় প্রযুক্তিগত বিপ্লব শুরু হয়ে গিয়েছে।’
আলিবাবার চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন একটি বিষয় যা নিয়ে তিনি বিশ্ব জুড়ে ছুটে বেড়া”েছন। স্থানীয় প্রশাসন, রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। শুনতে অনেকটা সিনেমার মতো মনে হলেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিন্তু মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জ্যাক-সহ অন্যান্য শিল্পপতি ও গবেষকরা। ‘টার্মিনেটর’ সিরিজের সিনেমার কথা মনে পড়ে? ঠিক ওই সিনেমার মতোই মানুষের সঙ্গে যন্ত্রের মুখোমুখি সংঘাত বেধে যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। জ্যাক বলছেন, “আমরা যদি এখনই সতর্ক না হই, তাহলে সমস্যা হতে পারে।’ অবশ্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারলে মানুষের প্রচুর সময় বাঁচবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে মানুষ আরও কম সময়ে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ফেলতে পারবেন।
আগামী ৩০ বছরে পৃথিবীর কর্মসংস্কৃতি আমূল বদলে যাবে বলেও মনে করেন জ্যাক। তার বক্তব্য, ‘আমি মনে করি আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মানুষ দিনে চার ঘন্টার বেশি কাজ করবেন না। হতে পারে একটি সপ্তাহে চারটি করে দিন থাকবে।’ নিজের বক্তব্যের সমর্থনে যথেষ্ট যুক্তিও দেখিয়েছেন এই চিনা শিল্পপতি। তিনি বলছেন, ‘দখুন আমার দাদু প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা করে কাজ করতেন ও ব্যস্ত থাকতেন। সেখানে আমরা দিনে ৮ ঘন্টা করে কাজ করি, তাও সপ্তাহে পাঁচদিন। এতেই ভাবি, আমরা বড্ড ব্যস্ত।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ