লঙ্কান কোচ গ্রাহাম ফোর্ডের পদত্যাগ
স্পোর্টস ডেস্ক : দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র ১৫ মাস টিকলেন গ্রাহাম ফোর্ড। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের এই প্রধান কোচ পদত্যাগ করেছেন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট থিলাঙ্গা সুমাথিপালা বলেছেন, দুই পক্ষের সমঝোতায় এই সিদ্ধান্ত এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকান ফোর্ড অবশ্য ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ করে ছুটিতে ছিলেন। আগামী সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় ফেরার কথা ছিল তার।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সংস্থার সাথে ফোর্ডের সম্পর্কটা শীতল হয়ে উঠছিল। দলের ব্যাপারে বোর্ডের অতিরিক্ত মাথা ঘামানো ও হস্তক্ষেপ তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। বোর্ড আবার ফোর্ডের এই মানসিকতা মেনে নিতে পারছিল না। গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা দলের সাবেক ক্রিকেটার অশঙ্কা গুরুসিনহাকে ক্রিকেট ম্যানেজার হিসেবে যোগ করা হয়। গুরুসিনহাকে অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়। নানা দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ফোর্ড মনে করছিলেন এভাবে গুরুসিনহাকে দলের সাথে দিয়ে দেওয়ায় তার কাজের স্বাধীনতা নষ্ট হয়েছে। গুরুসিনহাকে আবার নির্বাচক হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সংঘাত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফোর্ডকে সমস্যায় ফেলেছিল বলে শোনা যায়। দলের ওপর তার আধিপত্যটা নাকি খর্ব হয়েছিল। তাই কলম্বোতে ফিরে বোর্ডের সাথে বসেছিলেন সমাধানের জন্য।
শ্রীলঙ্কা ছাড়ার আগে অবশ্য ফোর্ডের কণ্ঠে আশা ছিল। বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ে গেলেও এই দলের খুব সম্ভাবনা আছে। এই তরুণ দলের মধ্যে একটু অভিজ্ঞতা এলে এবং দলটি আরেকটু লড়তে পারলেই হবে।
কিন্তু সেই লড়াইয়ে আর ফোর্ড থাকছেন না। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সাথে চুক্তি ছিল তার। গতবছর এই দায়িত্ব নেওয়ার সময় এই মেয়াদটা নিজেই নিশ্চিত করে নিয়েছিলেন। কারণ, শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ পদের অস্থিতিশীলতা। কিন্তু লাভ হয়নি। ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন। এবার গেলো বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নিলেও নির্দিষ্ট সময়ের দুই বছর আগেই পদত্যাগ করতে হলো ফোর্ডকে।