নগরীতে গণপরিবহন সংকট, বাড়তি ভাড়ায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা
তানভীর আহমেদ : নারীর টানে পরিবারের সাথে ঈদ করতে ঢাকা থেকে ছুটছে মানুষ গ্রামের দিকে। গত কয়েকদিন ধরেই মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। যানজটের নগরী ধীরে ধীরে ফাকা হতে শুরু করেছে। যাত্রীর সংখ্যা কমে আসার কারনে কমেছে যানবাহনের সংখ্যাও। শহর ছেড়ে অনেক গাড়ি চলে গেছে ঢাকার বাইরে। নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ ট্রাক পিকআপ ভ্যানে পাড়ি দিচ্ছেন বাড়িতে।
রাজধানী জুড়ে শুরু হয়েছে পরিবহন সংকট। যে যানবাহন গুলো রয়েছে সেগুলোতে চলছে বাড়তি ভাড়া আদায়। বকশিসের নামে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে পরিবহনগুলো। হেলপার-কন্ডাকটাররা বলছে ঈদ বকশিস। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পরিবহনে যাতায়াত করে দেখাগেছে, পরিবহনগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে বকশিস আদায় করছে। অনেকে ভাড়া বেশী দিচ্ছে আবার অনেকে জড়াচ্ছে বাকবিতন্ডতায়। যাত্রীদের অভিযোগ , যানবাহনগুলো কাছের গন্তব্যের কথা বললে উঠতে দিচ্ছেনা। আবার উঠতে গেলে আগেই বলছে ভাড়া বেশী দিতে হবে। বেশী না দিলে উঠতে পারবেন না। মিরপুর থেকে সদরঘাট রুটের বাসগুলো ফার্মগেট-গুলিস্তানের যাত্রী ওঠালেও ভাড়া রাখছে সদরঘাটের। রাজধানীতে চলাচলকারী লেগুনা বা হিউম্যান হলারগুলোতেও চলছে বকশিসের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় । প্রায় সবগুলো রুটেই ৫-১০ টাকা বেশী নেয়া হচ্ছে।
সরেজমীনে দেখা গেছে, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমান বন্দর খিলক্ষেত, বনানী, বিমান বন্দর, প্রগতিস্মরনী , নতুনবাজার, নর্দা পরিবহন সংকটের কারনে এসকল এলাকায় বাস স্টপেজে প্রচুর মানুষ পরিবহনের অপেক্ষায় দাড়িয়ে রয়েছে। আজিমপুর থেকে রহমান যাবেন গাবতলী কিন্তু বাস সংকটের কারনে তাকে বাধ্য হয়েই সিএনজি অটোরিক্সায় উঠতে হয়েছে যার ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দুইগুন।