ঈদ আমেজ : চিকিৎসক-রোগী উপস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি সরকারি হাসপাতালে
রিকু আমির : পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রভাব এখনও কাটেনি রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোয়। রোগীর পাশাপাশি চিকিৎসকের উপস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০ শয্যার মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। গত বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ঈদের ছুটিতে দেশের হাসপাতালগুলোয় সেবায় কোনো বিঘœ ঘটেনি। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করায় রোগীরা অব্যাহত সেবা পেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ ছুটি কেন্দ্র করে জরুরি চিকিৎসা সেবা পুরোদমে চালু ছিল শুধুমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ এরপর পৃষ্ঠা ৭, কলাম
(শেষ পৃষ্ঠার পর) হাসপাতালে। বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালসহ ঢাকার অন্য সরকারি হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল অনেকটাই ঢিলেঢালা। আবার ঢাকা মেডিকেল থেকে জরুরি চিকিৎসা পাওয়া গেলেও হাসপাতালে ভর্তিরা চিকিৎসা পেতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রোগীরা যে ধরনের সেবা পেয়েছেন, অন্য সরকারি হাসপাতালে তার চেয়ে কম সেবা পেয়েছেন ভর্তিরা।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, এখনও বেশকিছু চিকিৎসক কর্মস্থলে যোগদান করেননি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক এ প্রতিবেদককে বলেন, নিয়মিত যে ধরনের রোগী আসেন হাসপাতালে, ঈদের পরপর সে ধরনের রোগীর আগমন খুব কমই ঘটে। এটা নতুন নয়। এসব রোগীদের মধ্যে ঈদ আমেজ থাকার পাশপাশি ‘চিকিৎসক নেই বা খুব কম আছে’ এমন ধারণাও কাজ করে। বিশেষত, খুব জরুরি না হলে ঢাকার বাইরে থেকে রোগী একদমই আসেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় ৩০ জন চিকিৎসক এখনও কর্মস্থলে যোগ দেননি। শতভাগ নিশ্চিত তথ্য না পাওয়া গেলেও বিএসএমএমইউতে এখনও শতাধিক, সোহরাওয়ার্দী ও স্যার সলিমুল্লাহ’য় অর্ধশতাধিক চিকিৎসক কর্মস্থলে যোগদান করেননি বলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল প্রশাসন থেকে জানা গেছে। এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য চেয়ে দুটি হাসপাতাল প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী