নীলফামারীতে বাদামের বাম্পার ফলন
ডেস্ক রিপোর্ট : জেলায় বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি বাদামের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা খুশি। ঝুকি কম এবং লাভও বেশী, এ কারণে দিন দিন ঝুকছেন বাদাম চাষের দিকে। -বাসস
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মোৗসুমে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে জেলায়। সেখানে গত মৌসুমে ৯১৭ হেক্টর এবং তার আগের মৌসুমে ২২৯ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবাদ উঠতে শুরু করেছে। জেলার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি এবার বাদাম চাষ করেছেন দুই বিঘা জমিতে। এতে ১৬ মণ বাদাম পেয়েছেন। তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে ওই ১৬ মণ বাদামের দাম ৩২ হাজার টাকা। তিনি আরো বেশি দামের অপেক্ষায় আছেন। রফিকুল ইসলাম আরো জানান, অন্যদের দেখে এবারে প্রথম বাদাম আবাদ করেছেন তিনি। লাভ বেশী হওয়ায় অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম আবাদে আগ্রহী হয়েছেন।
একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুর্ব চিকনমাটি গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এবার ৫০ শতাংশ জমিতে হাইব্রীড জাতের বাদাম আবাদ করেছেন। ফসল ভালো হয়েছে। বাজারে বাদামের যে দাম চলছে তাতে তার ভালো লাভ হবে। তিনি জানান, বাদাম আবাদে সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না, কীটনাশক খরচও কম। নিড়ানির তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় শ্রমিক খরচ কম। একই গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম জানান, বিঘা প্রতি বাদাম চাষে খরচ হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
ফলন আসে প্রতি বিঘায় আট থেকে ১০ মণ পর্যন্ত। বাজারে ২ হাজার টাকা মণদরে বাদাম বিক্রি হলে অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি থাকবে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ডোমার উপজেলা কর্মকর্তা জাফর ইকবাল জানান, জেলায় গত কয়েক বছরে কৃষকদের মাঝে বাদাম চাষের আগ্রহ বেড়েছে। অন্যের জমি চুক্তি (লীজ) নিয়ে বাদাম করেও তারা লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের আগ্রহের দেখে কৃষি বিভাগ উন্নত জাতের বাদাম চাষ প্রদর্শনের জন্য এবার জেলার ৬ উপজেলায় ৫০টি প্রদর্শনী প্লট করেছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন।