আবারও অশান্ত দার্জিলিং, মোর্চার জঙ্গি আন্দোলনে আক্রান্ত পুলিশ ও সেনা
ডেস্ক রিপোর্ট : লাগাতার বনধে নারাজ সঙ্গীরা। কিন্তু ভাঙবে তবুও মচকাবে না গুরুংরা। তাই জিএনএলএফ, জাপ-এর মতো সঙ্গী দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও বনধের পথে অনড় মোর্চা। পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে তৎপর গুরংয়ের দল। এবার সরাসরি হামলা চালানো হল পুলিশের উপর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিস্তা ভ্যালিতে পুলিশের টহলরত জিপের উপর হামলা চালায় মোর্চা সমর্থকরা। ঘটনায় এক সিআরপিএফ জওয়ান-সহ ৪ পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালানো হয় রংলি রংলিয়ট থানার পুলিশ আউট পোস্টের কাছে। এলাকায় তখন টহল দিচ্ছিল পুলিশের দু’টি জিপ। ভ্যালির কাছে লুকিয়ে ছিল কিছু মোর্চা সমর্থক। আচমকা পাথর, কুকরি নিয়ে পুলিশ ও নিরপত্তাকর্মীদের উপর হামলা চালায় তারা। জিপটিও ভাঙচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আহত হলেও তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মিরিকেও হামলা চালায় মোর্চা সমর্থকরা। রাত একটা নাগাদ মিরিক মিউনিসিপালিটির ভাইস চেয়ারম্যান এমকে জিম্বার বাড়িতে পেট্রল বোমা ছোড়া হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় তার বাড়িতে। বাঁচার জন্য জিম্বা বাড়ির বাইরে এলে তার উপরে চড়াও হয় মোর্চা সমর্থকরা। মাথায় চোট পান জিম্বা।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। ছাড়া পেয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন জিম্বা। রাতেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় টুং-এর পঞ্চায়েত অফিসে। দীলারাম পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার গৈরিগাঁও পঞ্চায়েত অফিসও পুড়িয়ে দেয় মোর্চা।
সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ