তিনি বললেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য’!
রহমান শেলী
এভাবেই তিনি তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন। হ্যাঁ, আমরা অবিশ্বাস্য কাজটিই করি। তিনি আসলেন আমেরিকা থেকে। এসে ইমিগ্রেশন করলেন। মালামাল গ্রহণ করলেন। মালামাল গ্রহণের পর মাটির টান আর নাড়ির টান ধরে রাখতে পারলেন না। গাড়ি আসল, আর তার চোখে বাড়ি ভাসল। কখন বাড়ি যাবেন এ নিয়ে তখন তিনি হয়ে ওঠেন মহাব্যস্ত। খেয়াল নেই তার তখন, দীর্ঘ পথ বহন করে নিয়ে আসা ডলার আর ঔষধের কথা। তিনি তার ঊনিশশ (১৯০০) ডলার ও ওষুধ ফেলে গেছেন এয়ারপোর্টের ক্যানোপিতে। এমনটাই হওয়ার কথা! আমরা তো মাটি আর মায়া গন্ধে বড় হয়েছি। এ গন্ধ আমাদের করে তোলে আবেগময়, গদ্যময় কিংবা পদ্যময় জীবন! আপনাদের আবেগ, আপনাদের গদ্যময় ও আপনাদের পদ্যময় পৃথিবীকে আমরা নিরাপদ করে তোলার ব্রত নিয়ে কাজ করছি।
আমাদের এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ সদস্যরা এসব কুড়িয়ে এনে স্বযতেœ সংরক্ষণ করেছেন, যেন যার ডলার ও ওষুধ তাকে পৌঁছে দেওয়া যায়। স্বযতেœ সংরক্ষণ করে আমাদের কাজ শেষ নয়। এর পেছনে আরও অনেক শ্রম দিতে হয় আমাদের। কে সে ব্যক্তিটি তাকে খুঁজে বের করতে হয়। সম্ভাব্য যত যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে, আমরা নক করারর চেষ্টা করি …। এবারও তাই করা হলো। অবশেষে কাক্সিক্ষত ব্যক্তিকে পাওয়া গেল। তিনি এলেন আমাদের অফিসে। হারানো সকল ডলার ও ঔষধ অক্ষত অবস্থায় পেলেন। আর বললেন, এটা অবিশ্বাস্য! আপনাদের সার্ভিসে আমি খুবই খুশি। প্রিয় যাত্রীবৃন্দ, আমরা আছি সেবা ব্রত নিয়ে। আপনার নিরাপদ ভ্রমণই আমাদের কাম্য।
এয়ারপোর্ট আমর্ড পুলিশ, ঢাকা।
ডিউটি অফিসার (এএসপি): ০১৭৬৯৬৯০৭৪৫।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও এডিশনাল এসপি
সম্পাদনা: আশিক রহমান