দেশকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
একাত্তরের গেরিলা যোদ্ধা শহীদুল হক মামার সঙ্গে একটি টেলিভিশন টকশোতে আমার পরিচয় হয়। উনার সঙ্গে আগে থেকে আমার পরিচয় ছিল না। যদিও আগে থেকেই উনার সম্পর্কে জানতাম। টকশোতে মামাকে দেখেছিলাম। কথা-বার্তায়, গভীরভাবে দেশকে ভালোবাসতেন তিনি। লালন করতেন। নিজেকে একজন বিশিষ্ট বাঙালি হিসেবে সবসময় প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রমাণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অপরিসীম। আমি উনাকে গণজাগরণ মঞ্চ এবং বিভিন্ন সময় অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজপথে সোচ্চার থাকতে দেখেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনমত গঠনে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন তিনি। একাত্তরের মানবতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষী প্রদান করেছিলেন। শহীদুল হক মামা আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিটি জায়গা যেখানে মুক্তি সেখানে তিনি সোচ্চার হয়েছিলেন। অন্যায়ের সঙ্গে তিনি কখনো আপোস করেননি। একজন নিষ্ঠাবান মানুষ ছিলেন। একজন বাঙালি হিসেবেও সবসময় গর্ব করতেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের শাস্তির দাবি নিশ্চিতের জন্য গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এই গেরিলা কমান্ডার আজ আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এটা ভেবে খারাপ লাগলেও উনার জীবদ্দশায় বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হয়েছে, তিনি তা দেখে গেছেন। একাত্তরের ঘাতকদের শাস্তির ফলে কিছুটা হলেও মনোবেদনা ভুলেছিলেন নিশ্চয়ই সাহসী এই বীর।
পরিচিতি: মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসাইন/সম্পাদনা: আশিক রহমান