সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বেতন বাড়ানো হয়েছে দুর্নীতি বন্ধ করুন
হুমায়ুন কবির খোকন : সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধ করতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সকালে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের সচিবদের নিয়ে সচিব সভায় একথা বলেন। বর্তমান মেয়াদে এটি ছিল সরকারের সর্বোচ্চ আমলাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় বৈঠক। কর্মচারীদের দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থান সুস্পষ্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন সংশোধন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মজীবী নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৯ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬০ করা হয়েছে। এই সুযোগ-সুবিধার পর কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করে সকলের ন্যায়-সঙ্গত পদোন্নতি এবং পদায়ন নিশ্চিত করারও আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের তৃতীয় বর্ষে তিনি বলেন, ‘বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের হার আরও বাড়াতে হবে। অর্থবছরের শেষদিকে তাড়াহুড়ো না করে বছরের শুরু থেকেই বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণ করুন।’
সচিবদের সরকারের অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি রাজনৈতিক সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্ষমতায় আসে। কিন্তু, সচিবদের আরও অনেক দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকে। তিনি বলেন, কাজেই এটা সচিবদের উপরই নির্ভর করে দেশ কিভাবে চলবে।
উন্নয়ন কর্মসূচি এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ উপকৃত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে, কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রামের মানুষ কাজের খোঁজে শহরে না আসে। শহরের উপর জনসংখ্যার চাপ যাতে না বাড়ে সে ব্যবস্থা করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
বৈঠকের শুরুতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে সরকারের সংস্কার কর্মসূচির উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। সচিব সভায়৭১ জন সচিব অংশ নেন। যাদের মধ্যে ১৬ জন সচিব সভায় তাদের মতামত দেন।
প্রধানমন্ত্রী দক্ষ এবং যোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব প্রদানের আহবান জানিয়ে বলেন, ভালো কাজের পুরস্কার আর মন্দ কাজের জন্য তিরস্কার ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিন। সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে সেবা পেতে জনগণকে যাতে ভোগান্তির শিকার না হতে হয় তার উদ্যোগ নিন। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু