সিলেটে বন্যায় পানিবন্দি ৫ লাখ মানুষ, ১৭৪ স্কুল বন্ধ
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট : টানা বৃষ্টি আর উজানে পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ছয় উপজেলায় বন্যার কারণে জেলায় ১৭৪ বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে সুরমা-কুশিয়ারার পানিতে তলিয়ে গেছে তিন হাজার হেক্টর আউশ ধান। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মানুষ।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, কুশিয়ারা নদীর বিপদসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে স্রোত বইছে। তবে বর্তমানে পানি বাড়ছেও না, কমছেও না। এপ্রিলে অতিবৃষ্টি আর বন্যায় হাওরে ফসলহানির পর আবার নতুন দুর্যোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। আর প্রশাসন তাদেরকে দ্রুত সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার জেলা প্রশাসনের এক বৈঠক হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, বন্যার কারণে জেলার ছয় উপজেলায় ১৬১টি প্রাথমিক ও ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে টানা বৃষ্টির কারণে বরাক নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বরাকের শাখা নসুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে গেছে। নদীর পানি তীর উপচে ঢুকেছে লোকালয়ে। ফলে নদীর অববাহিকায় গ্রামগুলো তলিয়ে গেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। ডুবেছে হাজার-হাজার ঘরবাড়ি, দোকান পাট। বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কুশিয়ারার তীরের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরে পানি উঠায় শতাধিক দোকানপাটে পানি উঠেছে। সড়কে নৌকা দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। দুর্গত এলাকায় ১২৮ মেট্রিকটন চাল ও দুই লাখ ৭৮ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে আরও ত্রাণ ও সাহায্য দেয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান