খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
মো,ইব্রাহিম শেখ, খাগড়াছড়ি : রাঙামাটিতে গত ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড় ধস ও প্রবল বর্ষণের পর থেকে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে বিশদিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রবল বর্ষণে ৬৩ কিলোমিটারের খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের ৩টি অংশে প্রায় ৭০ মিটার সড়ক তলিয়ে গেছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির মহালছড়ি থেকে রাঙামাটির মানিকছড়ি অংশে ১০-১২ পয়েন্টে সড়ক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এতে করে রাঙামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ির সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ফিসারি ঘাট থেকে রাঙামাটির সমতা ঘাট পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করছে। থ্রী হুইলার(সিএনজি) এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেলও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ফিসারি ঘাটে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় কয়েকজনের । অন্য দা চরণ চাক্মা নামে একজন জানান, গত সপ্তাহ রাঙামাটি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে খাগড়াছড়ি আসতে খুব কষ্ট পেতে হয়েছে। মোটরসাইকেলটি ২ কিলোমিটারের সড়ক পার করে দিতে ১ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে নৌকায় তুলে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছি।
সমর চাকমা জানান, নৌকায় অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্চে। কাপ্তাই লেকে নৌ চলাচল খুব ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু যাত্রী পরিবহনকারী নৌকায় জীবন রাকারী যেসব উপকরণ থাকা দরকার তা নেই। প্রশাসন এসব দিকে হস্তক্ষেপ করলে যাত্রীরা স্বস্তি পেতে পারেন।
রাঙামাটির মনতুলা পাড়া কেসিং এলাকার বাসিন্দা বিজয় চাকমা জানান, দীর্ঘ ২০ দিন অতিবাহিত হলেও রাঙামাটি সদরের কতুকছড়ি এলাকার ভাঙ্গা অংশ মেরামতে সড়ক বিভাগের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কতুকছড়ি ছড়ি কেসিং সহ আশপাশের ৪-৫টি গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার খুব অসুবিধা হচ্ছে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন জানান, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম কিলোমিটার এলাকার প্রায় ৭০ মিটার সড়ক তলিয়ে গেছে। ৬ষ্ঠ কিলোমিটার এলাকার গর্ত ভরাট করতে আরো ৩ দিন সময় লাগবে। এরপর ৭ম ও ৮ম কিলোমিটারের গর্ত ভরাট ও সড়কের ওপর জমে থাকা মাটি সরিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে হালকা যান চলাচল শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান