ভারতের আসামে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষ
অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা থেকে: বেশ কয়েকদিন ধরে চলা লাগাতার বৃষ্টিতে ভারতের আসামে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির। রাজ্যের ৭টি জেলার প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে, মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। আসাম স্টেট ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) জানিয়েছে, উত্তর লখিমপুর জেলার সুবনসিরি নদী থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এএসডিএমএ-এর আরও জানানো হয়েছে, মূলত জোরহাট, লখিমপুর, গোলাঘাট, কাছার, ধেমাজি, বিশ্বনাথ ও করিমগঞ্জ জেলায় বন্যার কবলে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। প্রায় ৪৯৮টি গ্রাম পানিবন্ধি রয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমির ফসল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র করিমগঞ্জ জেলায় বন্যার কবলে পড়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার মানুষ। লখিমপুরে প্রভাবিত হয়েছেন প্রায় ৮১ হাজার মানুষ। বন্যায় আক্রান্ত মানুষের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ২২৮টি ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই কেন্দ্র গুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।
রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টিতে উপচে পড়েছে নদীগুলি। ব্রহ্মপুত্র, সুবনসিরি-সহ একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। প্রবল বর্ষার ফলে মাজুলি নদীদ্বীপ-সহ একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে সেতু ও সড়ক। বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। ত্রাণকার্যে নেমে পড়েছে সরকারি ও বেসরকারি উদ্ধারকারী দল। প্রবল বৃষ্টির জেরে এখনও বেশ কিছু জায়গায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি করিমগঞ্জ জেলার নিলাম বাজার এলাকা। এখনও ওই এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি। বন্যার কবলে ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর ও উত্তর পূর্ব ভারত। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গুজরাট, রাজস্থানের যোধপুরের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রবল বর্ষণ চলছে হিমাচল প্রদেশ জুড়ে। কিন্নর, লাহুল, কুলু, মান্ডি, মানালিতে আরও কয়েকদিন এরকম পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছে আবাহাওয়া অফিস । বিপর্যস্ত বিহারের পাটনা, গয়া, ভাগলপুর, পূর্ণিয়াও।