ভারতে জিএসটি চালুর পর বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহ বন্ধ : সীমান্তে আটক শত শত ট্রাক
মাছুম বিল্লাহ : ভারতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে সর্ববৃহৎ কর সংস্কার পণ্য ও সেবা কর (জিএসটি) চালুর পর বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্য স্থবির হওয়ায় একদিকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি বাংলাদেশে অনেক পণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মাহান্দিপুরে থাকা ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র সরকারি পরিকল্পনার অভাবের জন্য দেখা দিয়েছে চরম অচালাবস্থা। জিএসটি বাস্তবায়নের পরে কর নির্দিষ্ট না হওয়ার ফলে বন্ধ রয়েছে সীমান্ত বাণিজ্য। এ কারণে মাহান্দিপুর সীমান্তে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রয়েছে। ভারতের মহারাষ্ট্র, বিহার, উত্তর প্রদেশ, কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য এসব ট্রাক বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য আনা হয়েছিল।
সীমান্তে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে থাকার মূল কারণ জিএসটি চালুর পর সরকারের নির্দিষ্ট বিভাগের নির্দেশনার অভাব এবং সীমান্ত বাণিজ্যে শুল্ক বিভাগের ব্যবহার করা কম্পিউটারের সফটওয়্যার আপডেট না হওয়া। জানা গেছে, প্রতিদিন মাহান্দিপুর সীমান্তে ৫ শতাধিক ট্রাক চলাচল করে।
পশ্চিমবঙ্গ রপ্তানিকারক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সাহাই জানান, বাংলাদেশ অভিমুখী ফল-ফুল, পিঁয়াজ, মসলা বোঝাই শত শত ট্রাক সীমান্তে আটকে পড়ে। তবে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে পাঠিয়েছি।
তিনি জানান, মাহান্দিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবছর ১.৫০০ কোটি টাকার সীমান্ত বাণিজ্য হয়ে থাকে। সময়মতো কম্পিউটার আপডেট না হওয়ার ফলে রবিবার কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ইংলিশ বাজার বিধানসভার বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার জিএসটি বাস্তবায়ন করলেও সীমান্ত বাণিজ্যের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের একটা বৃহৎ বিভাগে কম্পিউটার সফটওয়্যার আপডেট করার ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার লাখ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে পথে বসানোর দিকে এগোচ্ছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ