ট্যানারি শিল্প, গাবতলির গরুর হাট এবং অন্যান্য
রবিউল আলম
বিচার ও বিচারের মালিক মহান আল্লাহ। দুনিয়ার বিচার করেন বিচারপতি। মাঝে মাঝে শুনি বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে, কেন কাঁদে জানি না। তবুও মানুষ বিচার চায়, বিচার ছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্র চলতে পারে না। সমাজের সামাজিকতা, সভ্যতা রক্ষা আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, আদালতের রায় রাষ্ট্র প্রশাসনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে, করতেই হবে সংবিধান রক্ষার্থে। এতদিন তাই জানতাম এবং জেনে এসেছি। ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরসহ অনেক মামলার রায় এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। কেন কার্যকর হয়নি তার জবাব কে দিবেন, কার কাছে চাইব। জনস্বার্থমূলক অনেক মামলার রায় এখনো হয়নি।
মামলার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য অনেকেই জনস্বার্থমূলক মামলা করতে চায় না। নিজের খেয়ে পরের মহিষ তাড়াতে কেউ চায় না, আমি একজন বেকুব মানুষ, আইনের সাহায্যের আশায় দীর্ঘ ৯ মাস আগে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে গাবতলী গরু হাটের ইজারাদার ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে বিবাদী করে জনস্বার্থে রিট আবেদন করি কিন্তু এখনো শুনানি করতে পারিনি। স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের অধীনে হাট-বাজার, শৌচাগার, গুদারাঘাট ইজারা দেয়। কিন্তু আইন আছে, ইজারার শর্ত আছে, তা বাস্তবায়ন হয় না। দুই টাকা শৌচাগার, গুদারাঘাটের চার্জ ১০-২০ টাকা আদায় হয়, গরু হাটের খাজনা ১০০ টাকা হলেও ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। শত শত অভিযোগ করেও বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাধীনতা উত্তর কোনো সাধারণ মানুষ ইজারাদার, কন্ট্রাক্টর সন্ত্রাসী হওয়ায় কোনো অভিযোগ করতে চায় না। জীবনবাজি রেখে একমাত্র আমি গাবতলী গরু হাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনো সমাধান হচ্ছে না, ইতোমধ্যে ১০ দিন মাংস ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট পালন করেছে, ১৫ মাস যাবৎ মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন এবং সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বহু আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলতে গেলে। এখন ভাবনার বিষয়, মহামান্য আদালত হয়তো একটি রায় দিবেন, কিন্তু বাস্তবায়ন হবে কিভাবে?
লেখক: ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা: আশিক রহমান