আইএসের পতনের পরও ইরাকে সেনা মোতায়েন রাখার চেষ্টা করছে আমেরিকা
ডেস্ক রিপোর্ট : উগ্র তাকাফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের কবল থেকে ইরাকের মসুল শহর উদ্ধারের পর এখন ওই এলাকাকে পুরোপুরি সন্ত্রাস মুক্ত করার অভিযান চলছে। আর সেই সঙ্গে আইএস তার শেষ মুহূর্তের নিঃশ্বাস ত্যাগ করছে।
দায়েশ ইরাক থেকে বিতাড়িত হওয়ার পথে থাকলেও এ পর্যায়ে আমেরিকার নতুন ষড়যন্ত্রের প্রতি সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। দায়েশ আইএসআইএল কিংবা আইএসআইএস নামেও পরিচিত। পার্সটুডে
মার্কিন নেতৃত্বে দায়েশ বিরোধী কথিত যুদ্ধের কথা বলে নানা উপায়ে আমেরিকা ইরাকে তাদের সেনা মোতায়েন রাখার পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে ইরাকিদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ইরাকের ইসলামী উচ্চ পরিষদের সচিব আম্মার হাকিম বলেছেন, দায়েশের চূড়ান্ত পরাজয়ের পর সেদেশে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি কিংবা একটি সেনার উপস্থিতিও মেনে নেয়া হবে না। গত ২৯শে জুন ইরাকের সেনা ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী দায়েশের দখল থেকে আন নুরি মসজিদ উদ্ধারের মাধ্যমে মসুল উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘটায়। দায়েশ নেতা আবু বকর আল বাগদাদি এই মসজিদ থেকেই তথাকথিত ইসলামি খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিল। ইরাকিরা এখন মসুলের পুরানো এলাকা থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়া দায়েশকে পুরোপুরি বিতাড়িত করে বিজয় উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকে দায়েশ সন্ত্রাসীদের পরাজয়ের পেছনে সেদেশের সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশত আশ্ শাআবি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। কেবল নিজেদের শক্তি সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে তারা এতো বড় বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
ইরাকিরা এমন সময় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করল যখন এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা দায়েশ বিরোধী যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে বলে দাবি করতেন। দায়েশ বিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার ষড়যন্ত্র এবং তাদের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় তারা আসলে দায়েশের পতন চায় না এবং এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কেবল নিজের স্বার্থে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করতে চায়।
লেবাননের খ্যাতনামা রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাসের কানদিল দৈনিক আল আম্বিয়াকে দেয়া সাক্ষাতকারে দায়েশ সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মসুল উদ্ধার পরবর্তী ইরাকের ভবিষ্যত সম্পর্কে বলেছেন, দায়েশের পতনের পর ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনা উপস্থিতির পক্ষে আমেরিকার আর কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, দায়েশ বিরোধী যুদ্ধের এক সময় অবসান ঘটবে এবং এরপর সেই যুদ্ধের কৌশল হবে ভিন্ন ধরণের। তাই এই দুই দেশে মার্কিন সেনা উপস্থিতিরও আর কোনো প্রয়োজন নেই। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ