ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শৈশবের চায়ের দোকানই এবার পর্যটন কেন্দ্র
অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা থেকে : ভারতের বদনগর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন ছোট্ট নরেন্দ্র দামোদর ভাই মোদি। আর্থিক সংকটের মতো নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠা। বাকিটা ইতিহাস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই চায়ের দোকানই এবার পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে। ঢেলে সাজানো হবে প্ল্যাটফর্মের সেই টি-স্টলটি।
শুধু ছোটবেলার কর্মক্ষেত্রই নয়, গুজরাটের বদনগর মোদির জন্মশহরও। গত রোববার শহর পরিদর্শনের পর ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা জানান, পর্যটকদের জন্য নতুন করে সেজে উঠছে প্রধানমন্ত্রীর জন্মশহর। বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে জায়গা করে নিতে চলেছে এই শহর। মেহসানা জেলার বদনগর স্টেশনের যে চায়ের দোকানে মোদি কাজ করতেন, সেটিকে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া শর্মিষ্ঠা লেকের জন্যও এ শহরের নামডাক আছে। সম্প্রতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া আবার প্রাচীন বৌদ্ধ মঠের সন্ধান পেয়েছে। সবমিলিয়ে পর্যটকদের নয়া গন্তব্য হতেই পারে বদনগর। আধুনিকতার ছোঁয়ায় চায়ের দোকানটি আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে বলেও জানান মহেশ শর্মা।
এর জন্য রেল মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই নো-অবজেকশন সার্টিফিকেটও মিলেছে। গুজরাটের পর্যটন মন্ত্রী গণপত ভবভা বলছেন, মোদি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে অনেকেই তার শহর দেখতে আসেন। তাই পর্যটন দফতর বদনগরকে সুন্দর করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে।
দেশকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া বানাতে উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রীর জন্মশহরকেই ডিজিটালাইজড করে তোলার উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল ভিলেজ স্কিমের আওতায় বদনগর শহর ও ব্লকের সবকটি গ্রামকেই ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা নিয়েছে গুজরাট সরকার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, দিওয়ালির আগেই বদনগর ব্লকে ডিজিটালাইজেশনের কাজ শেষ করা হবে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী