জলাবদ্ধতা ও যানজট দুর্ভোগে রাজধানীবাসী
বিপ্লব বিশ্বাস : গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ওই দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ফলে বিভিন্নস্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা খোড়াখুঁড়ি। এসব কারণে নগরজুড়ে তীব্র যান জটের পাশাপাশি পরিবহন সংকটও দেখা গেছে। সব মিলে গতকাল বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিল এই চিত্র॥ ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, যানজটের কারণে গুলিস্তান, মতিঝিল, মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডাসহ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে যানবাহনকে ঘণ্টার পার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, শান্তিনগরে এবছর ৮৫ ভাগ জলাবদ্ধতা কমে গেছে। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অন্যান্য এলাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ নাজিমউদ্দিন রোডের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আগস্টের মধ্যেই এর কাজ শুরু হবে। এরপর আর কোনও জলাবদ্ধতা থাকবে না।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রগতি স্মরণির শাহজাদপুর থেকে রামপুরা-মালিবাগের দিকে এবং খিলগাঁওর ফ্লাইওভার মৌচাক থেকে মালিবাগ হয়ে মধ্যবাড্ডা পর্যন্ত যানবাহনকে দীর্ঘ সময় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া গুলিস্থান, মতিঝিল, দৈনিক বাংলামোড়, পল্টন, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, রাজারবাগ, মিরপুর এলাকায় সকাল থেকেই রয়েছে তীব্র যানজট।
এদিকে, ডিএসসিসির পূর্ব জুরাইন ও ডিএনডি বাঁধ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পাম্পের মাধ্যমে পানি অপসারণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। তবে যেসব এলাকায় পাম্প ও ড্রেন বসবে বেদখল হওয়া সেসব এলাকায় প্রথমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। এরপর পাম্পের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে বুড়িগঙ্গায় ফেলা হবে। ফলে এলাকার জলাবদ্ধতা কমবে বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যদিও অন্যান্য বছরের মতো এবছরও এই এলাকাবাসীকে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সম্পাদনা – ফেরদৌস