সংবিধানের বাইরে এক চুল নড়াও সম্ভব নয় : খাদ্যমন্ত্রী
আল হেলাল শুভ : নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে এক চুল নড়াও সম্ভব নয়। এমন দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে বলেও এসময় উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসকাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কখনো সহায়ক সরকার, আবার কখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলছে। আসলে বিএনপি আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির নামে সন্ত্রাসীদের মুক্তি চাইছে। বিএনপির যেসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেসব অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে কখনোই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কোনো সুযোগ নেই। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।
আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কথার ধুম্রজাল সৃষ্টি না করে সংবিধান অনুযায়ী এই সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। কারণ নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের বাইরে এক চুল নড়াও সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়ার সাজা হলে কেয়ামত সৃষ্টি হবে বিএনপি নেতাদের এমন হুমকির জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। সরকার খালেদা জিয়াকে সাজা দেবে না। যথাসময়ে বিচার শেষে আদালত তার রায় দেবে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হলে আইনের মাধ্যমেই তা মোকাবিলা করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর করা ট্রাইব্যুনাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে। যারা বলছে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করা হয়েছিল, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ