কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ২ জনের মৃত্যু
ফরিদুল মোস্তফা খান ও সাইফুল ইসলাম : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার জেলায় প্রবল বন্যা ও নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে পাহাড়ধসের ঝুঁকি। বন্যায় তলিয়ে গেছে জেলা সদর, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও রামু উপজেলাসহ নিম্নাঞ্চলের তিন শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ১০ লাখ মানুষ।উখিয়ার পালংখালীর আনজুমানপাড়ায় দেয়ালচাপায় ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘুমধুমে পাহাড় ধসে চেমন খাতুন নামে বয়োবৃদ্ধ মহিলা মারা গেছে। পাহাড়ের মাটি এসে পড়ায় কলাতলী মেরিনড্রাইভ সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। উপড়ে গেছে সড়কের দুই পাশের অনেক গাছপালা।কক্সবাজার টেকনাফ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ লাধিক মানুষ। বাঁকখালী ও ঈদগাঁও নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ। মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার কর্মকর্তা এ কে এম নাজমুল হক জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকেই অতি ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ১৯৭ মিলিমিটার।তিনি আরো জানান, গত চারদিনে মোট ৫৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, বুধবার বন্যাকবলিত এলাকার মধ্যে চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরে ১০০০ খাবার প্যাকেট ও নগদ ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান