চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশা নিধন জরুরি
ডা. মো. শাহিনুল আলম
চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত জ্বর। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে আমাদের মাঝে তৈরি হয়েছে এক ধরনের উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ। প্রশ্ন হচ্ছেÑ আমরা চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত ছিলাম আমরা? মূলত চিকুনগুনিয়া ভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের প্রতিরোধ অংশে ঘাটতি ছিল। মশা নিধনের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের যে দায়িত্ব তা কি তারা পালন করতে পেরেছেন? শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেক মশা রয়েছে। যার কারণে আমরা এ ভাইরাস জ্বর পরোপুরি দূর করতে পারছি না। তবে চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার কাজটি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে। মানুষ জানতে পেরেছে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের জন্য কোনো এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা লাগে না। এই ভারাস জ্বর প্রতিরোধের জন্য প্যারাসিটামলই একমাত্র ওষুধ, রোগী বা সাধারণ মানুষ অনেক বেশি ভাল জানতে পেরেছি। মশা নিধনের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় কর্তব্য। এ বিষয়ে রাষ্ট্র বা নগর প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করছি। তবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবার প্রচুর। সঠিক সময়ে মশা নিধন করা গেলে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক কম হতো। আর এ কারণেই মানুষ এখনো চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। তবে অনেকেই বলছেন, চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মহামাড়ি আকার ধারণ করেছে, যারা এ মত পোষণ করছেন তাদের সঙ্গে একমত নই আমি। তাদের এ মত সঠিক নয়। তবে এটা সত্য চিকুনগুনিয়া আরও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকুনগুনিয়া আক্রান্তদের নিয়ে ভালো কাজ হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। চিকুনগুনিয়া টেস্ট এর মূল্যও খুব বেশি নয়। তবে মশা নিধন করতে না পারলে চিকুনগুনিয়া পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের জন্য মশা নিধন করতেই হবে। তা না হলে কোনোভাবেই চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জ্বর ঠেকানো যাবে না।
পরিচিতি: সহযোগী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসাইন/সম্পাদনা: আশিক রহমান