লাখ পিস ইয়াবা গায়েবের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকা বা সহযোগিতার অভিযোগও অহরহ। এসব অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের কারণে জেলা ডিবি পুলিশের কর্মকা- নিয়ে মিশ্র ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গোয়েন্দা পুলিশের ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদেশ অনুয়ায়ী ২০১৫ সালের ১৫ জুন কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। পুলিশ সুপার হিসেবে ড. এ. কে. এম ইকবাল হোসেন যোগদানের পর চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ফের শুরু হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশের কার্যক্রম। কিছুদিন সুনামের সাথে কার্যক্রম চলে আসলেও বর্তমানে ডিবি পুলিশে চলছে গোপনে ইয়াবা ব্যবসা। ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে আটক বহুল আলোচিত এএসআই মাহফুজের পথে হাঁটছেন বর্তমান ডিবি পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তা। ডিবি পুলিশের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে গত ৪ জুলাই দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলাকালীন সময়ে এসপির উপস্থিতিতে ডিবি পুলিশে কর্মরতদের ভাগ-বাটোয়ারা বিষয় নিয়ে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় কৌশলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন এসপি।
এদিকে গত ৬ জুন রাতে উনছিপ্রাং বাজার সংলঘœ ব্রিজের ওপর থেকে ১ লাখ পিস ইয়াবা ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করেন ডিবি পুলিশের এসআই ফারুক আহমেদ। বিষয়টি ডিবি পুলিশের ওসি, এসিসহ প্রায় সকলে জানলেও এখন তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এসআই ফারুকের কাছে ইয়াবা উদ্ধারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১০ হাজার পিস পিকআপ চালককে সোর্স মানি হিসেবে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি ৯০ হাজার পিস কেন জব্দ তালিকায় নেই তা জানাতে পারেননি তিনি। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২০ জুন রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী বাইপাস অংশের লালপুল থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশের এসবির এএসআই মাহফুজুর রহমান ও তার গাড়িচালক জাবেদ আলীকে আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ টাকা, মোবাইল, বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও মাদক বিক্রির টাকার হিসাবের নোটবুক উদ্ধার করে র্যাব। পরে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের একজন পরিদর্শককে ক্লোজড ও ১০ উপ-পরিদর্শককে বদলি করা হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ