‘হাওরের ইজারা বাতিল করে মাছ শিকার উন্মুক্ত করে দিতে হবে’
রফিক আহমেদ : গণতদন্ত কমিশনের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, হাওরের জলমহালের ইজারা বাতিল করে মাছ শিকারের অধিকার উন্মুক্ত করে দিতে হবে। গতকাল শুক্রবার পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে ‘হাওরের পাশে বাংলাদেশ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ’গণতদন্ত কমিশন’ এর সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আগাম বন্যার ফলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হাওর অঞ্চলে তৈরি হয়েছে তার বিবরণ তুলে ধরে ২ কোটি হাওরবাসীর জীবন-জীবিকা, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সংকট মোচনে আশু ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য কতগুলো দাবি তুলে ধরা হয়। হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান ঢলে তলিয়ে যাওয়ায় সর্বস্বান্ত কৃষকদের রক্ষার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ লাখ পরিবারকেই সরকারি সহায়তার আওতায় আনতে হবে। চাল ও অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা চালিয়ে নিতে হাওরের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে উপবৃত্তি দিতে হবে। কৃষি ঋণ, এনজিও ঋণ মওকুফ করতে হবে। আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী ফসল মওসুমের জন্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। নতুন কৃষি ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। হাওরের জলমহালসমূহের অবৈধ ইজারা বাতিল করতে হবে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মুনাফাভিত্তিক লুটেরা ব্যবস্থার কারণে হাওরের পরিবেশ প্রকৃতি বিবেচনায় না নিয়ে নানা ধরনের প্রকৃতিবিরোধী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এটা যেমন হাওরে হচ্ছে, তেমন সুন্দরবনেও হচ্ছে। তিনি জলমহালের ইজারা বাতিলে করে মাছ শিকার উন্মুক্ত করার আহ্বান জানান।
কমিশনের প্রতিনিধিদল আগামী ২৯ জুলাই ঢাকায় দিনব্যাপী হাওর বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। আগস্ট মাসে হাওর অঞ্চলের ৭টি জেলার হাওর উপজেলাসমূহে তদন্ত কমিশনের সদস্যবৃন্দ সফর করবেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ