বন্যা প্লাবিত ভাটি এলাকার মানুষের হাহাকার!
মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম
ভারি বর্ষণের ফলে পুরো সিলেট বিভাগ এখন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ দেখছে চারিদিকে কেবল পানি আর পানি। উপর্যুপরি বন্যার কারণে ওই অঞ্চলের অসংখ্য অসহায় মানুষ জীবনযাপন করছে চরম কষ্টে। সবার মধ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। প্লাবিত বন্যার পানিতে ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, তলিয়ে গেছে বোরো ফসলের মাঠ, ভেসে যাচ্ছে পুকুর আর ফিশারির ঝাকে ঝাকে মাছের পোনা। বাহারি মাঠের ফসল, ধান ক্ষেত এবং বিভিন্ন রকমের তরিতরকারি সবই প্লাবিত পানিতে ডুবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু-ছাগল সবই ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যার পানিতে গরিবের শতশত মাটির কুটি ভেঙে পড়ছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বাটি এলাকার হাজার হাজার একর জমির ফসল। শত শত মাছের ফিশারিসমূহ ডুবে যাওয়ার কারণে ভেসে গেছে শত শত কোটি টাকার বাহারি মাছের পোনা। গাড়ি চলাচলের রাস্তা-ঘাট, বসবাসের বসত-বাড়ি, শিক্ষালয়, স্কুল-কলেজের মাঠ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়ির ভেতরে, সামনেও পানি। পেছনেও পানি। এই হলো সিলেটের করুণ হাল।
দাঁড়ানোর জন্য সামান্য জায়গাও কোথাও নেই। হাহাকারে দিন গুনছে বন্যাকবলিত মানুষগুলো। সব মিলিয়ে সিলেট অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের জীবনে আজ বড়ই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যার পানিতে ল-ভ- হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। যেদিকেই দৃষ্টি যায় কেবল হাহাকার। পানি ধারাবাহিক বৃদ্ধির ফলে এ অঞ্চলের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান আজ বন্ধের উপক্রম। কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখাও বন্ধ। বিশেষ করে হতদরিদ্র পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। যা একজন মানুষ স্বচক্ষে না দেখলে বোঝা মুশকিল। কল্পনা করাও কঠিন। এ অবস্থায় সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন অনেক বেশি। পাশাপাশি দরকার সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসা। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে দুর্গত মানুষদের রক্ষায় এগিয়ে আসা আজ মানবতার দাবি।
লেখক: শিক্ষার্থী, দেওবন্দ, ভারত/সম্পাদনা: আশিক রহমান