মোদির হুঁশিয়ারিই সার, ফের গো-রক্ষার নামে গণপিটুনি নিরীহদের
ডেস্ক রিপোর্ট : হুঁশিয়ারিই সার। হুঁশ ফিরছে না স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের। গো-ভক্তির নামে মানুষ খুন চলবে না, কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সুরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।
গো-রক্ষার নামে আইন হাতে তুলে নিলেন রেয়াত নয়, সতর্ক করেছিলেন যোগী। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার। ফের স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তা-বের শিকার হলেন ছ’জন যুবক। রাজধানী দিল্লির বাবা হরিদাস নগরে মোষশাবক পাচার করার অভিযোগে তাদের বেধড়ক মারধর করল স্বঘোষিত গো-রক্ষকরা। মোষশাবক বোঝাই ৬টি গাড়িকে ভাঙচুর করা হয়। তিন গাড়িচালক গুরুতর জখম হন। সংবাদ প্রতিদিন
গত ৩০ জুন ঝাড়খ-ের রামগড় জেলায় গো-মাংস বহনের অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গ্রেপ্তার হন এক বিজেপি নেতা-সহ তিনজন। এই ঘটনার পরই গো-রক্ষার নামে গণপিটুনির প্রতিবাদে গর্জে ওঠে গোটা দেশ। প্রতিবাদে পথে নামেন বহু মানুষ।
বাধ্য হয়ে আসরে নামেন প্রধানমন্ত্রী। গো-ভক্তির নামে মানুষ খুন করা চলবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেন। মহাত্মা গান্ধীর উদাহরণ টেনে মানুষকে সহিষ্ণু হওয়ার বার্তা দেন। কিন্তু হুঁশিয়ারিই সার। প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও যে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের টনক নড়েনি, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। দিল্লির ঘটনায় আলি জান নামে এক চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আলি জানের ছেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ