ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমের অপরাধে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন
সাইফুল ইসলাম প্রবাল, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রেমের অপরাধে আ: বারেক ওরফে সবুর নামের যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ওই মেয়ের দুলাভাই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খানকা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে বাদশাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে কলেজছাত্রী সাথী আক্তারের সঙ্গে সবুরের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সম্পর্কের কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মেয়ের দুলাভাই ও তার পরিবারের লোকজন কৌশলে সবুরকে বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে ২ ঘণ্টা নির্যাতন করে। এ সময় এলাকার লোকজন দেখতে আসলে তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তখন কয়েকজন মোবাইল ফোনে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। পরে এটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনা দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ. মান্নান ও বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশ গিয়ে গুরুতর অবস্থায় আবদুস বারেক ওরফে সবুরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে।
গুরুতর আহত আ. বারেক ওরফে সবুর জানায়, সাথী দিয়ে কৌশলে আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে সাথীর দুলাভাই ও বাড়ির লোকজন আমার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এদিকে, এ ঘটনায় সবুর বাদী হয়ে মেয়ের দুলাভাই ও পরিবারের সকল লোকজনকে আসামি করে গত বৃহস্পতিবার রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।মামলায় দায়িত্ব প্রাপ্ত বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই নুরুল ইসলাম জানান, আসামি বাদশাকে আটক করে শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মেয়ের বাবা জানান, ওই ছেলের অত্যাচারে আমার মেয়ে ঠিকমত কলেজে যাতায়াত এমনকি বাড়িতে অবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়ায় আমার বড় জামাইসহ পরিবারের লোকজন তাকে বেঁধে পিটিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান