সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭০ দশমিক ৬৩ শতাংশ
মাসুদ মিয়া: দেশের পুঁজিবাজার গত সপ্তাহ সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গত সপ্তাহ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে পাশাপাশি লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে ৭০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৮১টি বা ৮৪.৩৮ শতাংশ কোম্পানির। আর দর কমেছে ৪১টি বা ১২.৩১ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি বা ৩.৩০ শতাংশ কোম্পানির। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯০.৪৮ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪.১৭ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৩.৪১ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.৯৪ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫১ পয়েন্ট বা ২.৬৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭৫০ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ২১ পয়েন্ট বা ১.৬৪ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ৩২ পয়েন্ট বা ১.৫৫ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে মোট ৫ হাজার ২৯৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বা দৈনিক গড় ১ হাজার ৫৯ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা এর আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে মোট ৩ হাজার ১০৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বা দৈনিক গড় ৬২০ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭১ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ২.১৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। এ সময় কোম্পানির ১৫৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২.৯৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিজেন্ট টেক্সটাইলের লেনদেন হয়েছে ১৪০ কোটি ৩ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২.৬৪ শতাংশ। ১২০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বারাকা পাওয়ার।
লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে ফু-ওয়াং ফুড, কেয়া কসমেটিকস, ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস, বেক্সিমকো, প্রাইম ব্যাংক, সাইফ পাওয়ারটেক ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ।