পাইকারি বাজারে চালের দাম কমেছে, সুফল পাচ্ছে না খুচরা ক্রেতারা
নাফরুল হাসান : আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে দেশের পাইকারি বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। অথচ এর কোন প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে চাল কেনায় আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
ভারত থেকে চাল আমদানির খরচ এবং আমদানি শুল্ক কমায় বর্তমানে প্রতি কেজি চালের খরচ পড়ছে ৩৯টাকা । ফলে চাল আমদানিতে হিরিক পড়েছে। ১৫ দিন আগেও ভারত থেকে মোটা চাল আনতে প্রতি কেজি চালে খরচ পরতো ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা, সেই সাথে যোগ হয় ৮ টাকা শুল্ক আর ২ টাকা পরিবহন খরচ ধরে প্রতি কেজি মোটা চালের আমদানির দাম ছিলো ৪২ টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত মে মাসে ১ লাখ ২হাজার টন চাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে। আর এই ঋণপত্রের ২৫ হাজার টন চাল ঢুকেছে দেশের বাজারে। এর ফলে পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম কমেছে কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত।
এ সম্পর্কে এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারতীয় চাল বাজারে আসায় চালের দাম কমেছে। আমরা মোটা চাল বিক্রি করছি ৪১ টাকা করে।’ মোটা চালের দাম বেশ খানিকটা কমলেও দেশি চালের দাম কমেছে কেজিতে ২ টাকা করে। এই সম্পর্কে চালের এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘চালের সরবরাহ অনুযায়ী চালের দাম উঠা-নামা করে। যেহেতু এখন চাল আমদানি হচ্ছে আর সরবরাহ ভালো থাকায় চালের খরচ কমেছে। এর ফলে প্রতি কজিতে আমরা ২ থেকে ৩ টাকা করে দাম কমিয়ে চাল বিক্রি করতে পারছি। পাইকারি বাজারে চালের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব নেই। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের দামে চাল ক্রয় করায় দাম কমানো যাচ্ছে না। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি তদারকি না থাকলে সুফল পাবে না ভোক্তারা। সূত্র : একাত্তর টিভি