ট্রাম্প ট্রাভেল ব্যানে জরুরি আদেশ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আপিল আদালতের অস্বীকার
রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ৬টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের তার দেশে প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন সে ব্যাপারে একটি জরুরি আদেশ জারি করার জন্যে হাওয়াইয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, তার দেশে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকানোর জন্যেই এধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এধরনের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা যারা করছেন তাদের পক্ষ থেকে, বিশেষ করে অভিবাসীদের দেখভাল করে ও আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে এমন এডভোকেসি গ্রুপ ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা করেন। নিরাপত্তার ইস্যুটি ছাড়াও মুসলমানদের প্রতি এ ধরনের নিষেধাজ্ঞাকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলেও অভিহিত করেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের হনলুলুর এক বিচারক শুক্রবার ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রায় স্পষ্ট করার জন্যে বলেন এবং এ ব্যাপারে মার্কিন সরকার যে জরুরি আদেশ জারি করতে বলেছে, সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবম সার্কিট আদালতে ট্রাম্প ব্যানের ব্যাপারে জরুরি আদেশ জারির আবেদন জানানো হয়। তবে এ আদালত ইচ্ছে করলে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সঙ্কুচিত করার ক্ষমতা রাখে। সার্কিট আদালতের ৩ জন বিচারকের একটি প্যানেল শুক্রবার ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শুনানি বাতিল করে দিয়ে বলে, এ আদালতে জরুরি আদেশ জারি করার ব্যাপারে আবেদনের কোনো এখতিয়ার নেই। এমনকি ভবিষ্যতে নবম সার্কিট আদালত ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ইনজাংশন জারি করতে পারে যদি আদালত মনে করে যে, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের ব্যাপারে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর আগে ইরাক এ তালিকায় থাকলেও পরবর্তীতে দেশটির নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এও সিদ্ধান্ত নেয়, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ছেলেমেয়ে, মা-বাবা ও ভাইবোন রেহাই পাবেন তবে দাদা-দাদি, নানা-নানিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বেন। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী