মেহেরপুরে সালিসে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আকতারুজ্জামান, মেহেরপুর : মেহেরপুর গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামে সালিশের নামে গৃহবধু ও যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের হয়েছে। সন্ধ্যায় নির্যাতিত নারীর পিতা বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ইউপি মেম্বার ও কাজিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গ্রেফতারকৃতরা হলেন,আওয়ামী লীগ নেতা ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ,গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হকের ভাই ময়নুদ্দীন,আবু সালেহ,আবু তালেব,আজমাইন হোসেন,খলিল মন্ডল,শরিফুল ইসলাম,হানিফ,কাবের আলী,আব্দুর রহমান,আবুল হাসেম ও কাউছার আলী। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মতর্কা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, দিনভর বিভিন্নভাবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা মেলেএ মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখেছি। এই নির্যাতন ও অবিচারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গ, গত ১ জুলাই রাতে করমদি গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের এক যুবকের পরকিয়া প্রেমের অভিযোগে আটক করে গ্রামের কতিপয় লোকজন। পরদিন গ্রামের অংসখ্য মানুষের উপস্থিতে তাদের দু’জনের হাত একসঙ্গে রসি দিয়ে বেঁধে গ্রামের সড়ক ঘোরানো হয়। শারীরিক নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে। ওই সালিশেই গৃহবধুকে যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। ওই যুবককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা নির্ধারণ করে গৃহবধূকে তালাক দেওয়া হয়।