যে হারে চালের দাম কমার কথা সে হারে কমছে না
মাসুদ মিয়া: রাজধানীসহ সারাদেশে যে হারে চালের দাম কমার কথা সে হারে চালের দাম কমছে না। ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়াছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর খুচরা বাজারে এতদিনে চালের দাম কমার কথা ছিল ৬ টাকা। তবে কমেছে কেজিতে চালের দাম কমেছে মাত্র ১ থেকে ২ টাকা। গতকাল রোববার রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর শেওড়াপাড়া, মহাখালী, কারওয়ানবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। চাল আমদানিতে ২০ জুন নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সরকার। এতে চালের শুল্ক হার ২৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে আসে। এছাড়া বিনা মার্জিনে চাল আমদানির ঋণপত্র খোলার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব সুবিধা নিয়ে ভারত থেকে হাজার হাজার টন চাল আমদানি হচ্ছে। তবে এর সুফল শতভাগ পাচ্ছেন না ক্রেতারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আমদানি শুল্ক কেজিপ্রতি ৬ টাকা কমানো হয়েছে। অথচ খুচরা বাজারে চালের দাম কমেছে মানভেদে ২ টাকা পর্যন্ত।
ব্যসায়ীদের অতি মুনাফালোভী প্রবণতার কারণেই চালের দাম ধীরে কমছে বলে মনে করেন ক্রেতারা। রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মহাখালী, কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা, আটাশ পাইজাম, চায়না ইরির মত ভালো মানের মোটা চাল আগের চেয়ে ২ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আর নিম্নমানের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকায়। প্রতি কেজিতে ২ টাকা কমেছে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মত সরু চালেও। এসব চাল বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়। এ বিষয়ে শেওড়াপাড়া বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের পরে সব ধনের চালের দাম ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। পাইকরি বাজারে চালের দাম কমার কারণে তারাও কম দামে বিক্রি করছেন। শেওড়াপাড়া বাজারের ক্রেতা বোরহান উদ্দিন বলেন, দেশে কোনো পণ্যের দাম একবার বেড়ে গেলে তা আর কমে না। চালের ক্ষেত্রেও মনে হয় তাই হচ্ছে। ঈদের আগে টিভিতে দেখলাম বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন অল্প কিছু দিনের মধ্যে চালের দাম কেজিতে ৬ টাকা কমবে। কিন্তু ঈদের প্রায় ১৫ দিন পার হলেও বাজারে চালের দাম কমেছে মাত্র ১ থেকে ২ টাকা। ব্যসায়ীদের অতি মুনাফালোভী প্রবণতার কারণেই চালের দাম কমছে না বলে মনে করেন তিনি।