প্রতিবন্ধী মেয়েটি কারো কাছে নিরাপদ নয়
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : সাবরিনা এখন ১৪ বছরের কিশোরী। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। মেয়েটি যত বড় হতে থাকে মায়ের দুশ্চিন্তা ততোই বাড়তে থাকে। এখন এই মেয়েকে রেখে মা কোথাও যেতে পারেন না। ইস্কাটনে প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়ে সাবরিনা। বেশ বড় হয়েছে। সাবরিনার মা রোকেয়া রহমান বলেন, মেয়েটি ৭/৮ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাপ এবং ঘনিষ্ঠ দু/চারজন আত্মীয়ের বাইরে সে কারো কাছেই নিরাপদ নয়। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি বুঝিনা একটা অসহায় মেয়েকে কিভাবে নির্যাতন করে। সাবরিনার বয়স সাড়ে সাত বছর, আমি এই মেয়েকে রেখে ছোট মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গেলাম। বাসায় রেখে গেছি আমার মামা শ্বশুরকে। তার বয়স ৬০ এর উপরে হবে। আমি এক ঘন্টার জন্য উনাকে বলে গেলাম মেয়েটাকে দেখতে। এসে দেখি আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। মামাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? উনি জবাব দিলেন, আমি জানিনা। তারপর ডাক্তার আনলাম। মেয়ের জ্ঞান ফিরতেই ওই মামাকে দেখে আবার শব্দ করে বেহুঁশ।
ডাক্তার ভালো করে দেখে বললেন, ওর সঙ্গে কোনো একটি খারাপ আচারণ করেছে এই ভদ্রলোক (মামা)। পরে আমি দেখি মেয়ের শরীরে দাগ। মামা আমার এই সাড়ে বছরের মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছে। কাউকে কিছু বলিনি। আমার ভাগ্যকে দায়ী করে নীরব ছিলাম। সেই মামা শ্বশুর উল্টো আমার অনেক বদনাম করলেন। এভাবে প্রতিনিয়তই সবাইকে নিয়ে আতংকে থাকি মেয়েটার উপর কার বদ নজর পড়ে। প্রতিবন্ধী মেয়েদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা দরকার। সম্পাদনা : রিকু আমির