পাঁচবিবিতে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী
আব্দুল হাই, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : গ্রামীন জনপদের সাধারন মানুষের চলাফেরা নিশ্চিত করতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ত্রান ও পূনর্বাসন বিভাগের আওতায় ১১টি ব্রীজ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ১২ তারিখের দিকে। গ্রামীন জনপদের সর্বসাধারন মানুষের শহরাঞ্চলের সাথে যাতায়াত ও তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করনে সুবিধাসহ চলাফেরা নিশ্চিত করতে এসব ব্রীজ নির্মানের কাজ শেষ করার কথা ২ মাসের মধ্যে অর্থাৎ ১২ এপ্রিলের দিকে।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসিনতা আর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতার কারনে এখনো শেষ হয়নি সুখান পুকুর, শন্তা গুরনী ও চাটখুর গ্রামের ৩টি ব্রীজের নির্মান কাজ। ফলে বর্ষাতে ওইসব এলাকার প্রায় ৪০/৫০টি গ্রামের কয়েক হাজার সাধারন মানুষের দূর্ভোগ এখন চরমে। এমনকি জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও নিরুপায় গ্রামবাসী শহরাঞ্চলের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে পারছেন না জীবন বাঁচাতে। শুধু তাই নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে না পাড়ার কারনে এসব গ্রামের অসহায় কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মূল্য থেকে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে না পাড়ার কারনে লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে এসব এলাকার শিক্ষার্থীরা। এমন সব নানামূখি সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্রীজগুলোর নির্মান কাজ শেষ করে চলাচলের উপযোগী করার দাবী এলাকাবাসীর।
সরেজমিন ব্রীজ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোনটাতে কেবল নির্মান কাজ শুরু করতে দেখা গেছে, আবার কোথাও গিয়ে দেখা পাওয়া যায়নি নির্মান শ্রমিকদের বা নির্মান সামগ্রীর। তাই ব্রীজ ৩টির নির্মান কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। ব্রীজ এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম, ব্রীজ নির্মাণের ব্যয়ের টাকার পরিমাণ,নির্মাণ সামগ্রীর ধরণ সম্বলিত সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপনের কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি ২টি ব্রীজ এলাকায় তবে একটি ব্রীজ এলাকায় সাইনবোর্ড ভেঙ্গে পড়ে থাকতে দেখা যায়।সম্পাদনা : মাসুদ রানা