বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহতে দায়ীদের শাস্তির দাবিতে জিটিইউসির ঘেরাও কর্মসূচি
জাফর আহমদ: গাজীপুরের মাল্টি ফ্যাবস কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দায়ি মালিক ও বয়লার পরিদর্শকসহ দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (জিটিইউসি)। গতকাল দুপুরে সংগঠনটির কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, শ্রমিক নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক জালাল হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এম মিন্টু, কোষাধ্যক্ষ এমএ শাহীন, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দিদারুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। ঘেরাও কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে কাজী রুহুল আমিন বলেন, নিরাপদ কর্মস্থল ও নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন ছিল তা গ্রহণ করা হয়নি। বরয় নানা ধরণের তালবাহানা ছিল। তিনি বলেন, দেশে বয়লার আইন আছে, পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারি জনবলও আছে। কিন্তু তারা তাদের দায়িত্ব পালন না করায় নিরিহ শ্রমিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি মাল্টি ফ্যাবস, রানা প্লাজা, তাজরীন টাম্পাকোসহ সকল শ্রমিক হত্যাকা-ের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর একর্ড এর দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও মাল্টি ফ্যাবস কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক হত্যাকা- প্রমাণ করে যে, এ্যাকর্ড, এ্যালায়েন্স, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৎপরতা এক ধরণের প্রদর্শনি ছাড়া কিছুই নয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই সকল প্রতিষ্ঠান নিজেদের অন্যায় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নিহত শ্রমিকদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে মৃত শ্রমিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ঘেরাও কর্মসূচি থেকে নেতৃবৃন্দ নিহত ও স্থায়ীভাবে অক্ষম শ্রমিকদের সারা জীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ, অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, নিরাপদ কর্মস্থল এবং অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান।