সংলাপ সফল করার জন্য যা করা দরকার
আফসান চৌধুরী
নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংলাপ আয়োজন করেছে, যা শুরু হবে এ মাসের শেষের দিকে। সংলাপ সফল করার জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি দরকার নির্বাচন কমিশনের সেটা হলো, মানুষের মধ্যে আস্থার পরিসরটা আরও বাড়ানো। বর্তমান নির্বাচন কমিশন তো আর প্রশ্নবিদ্ধ নয়। তারা এখনো পর্যন্ত সে রকম কোনোকিছু করেনি। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমন ধারণা মানুষের মধ্যে জোরালোভাবে দিতে হবে কাজের মধ্যে দিয়ে। স্বস্তির জায়গাটা আরও শক্তিশালী করা দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যারা প্রার্থী হবে তারা যে আইনের দিক থেকে সঠিক তা প্রমাণের ব্যবস্থাটাও নির্বাচন কমিশনের তাড়াতাড়ি করা দরকার। বিষয়গুলো পরে দেখার কথা বলা হয় কিন্তু সেটা করা আর সম্ভব হয় না। আমার মনে হচ্ছে, অতীতের চেয়ে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। কারণ ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন নিয়ে জনগণের একটা অংশের মধ্যে কিছুটা হলেও অসন্তুষ্টি আছে। এখন ২০১৮ বা ২০১৯ সালের নির্বাচনটি এমন হতে হবে যাতে জনগণ স্বস্তি পায়।
আমরা দেখেছি নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। সকল দল মিলেই এমন একটা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে যেন সবাই স্বস্তি পায়। নির্বাচনে সংহিংসতার বিষয়টা আরেকটা ঝুঁকিপূর্ণ দিক। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যদি সহিংসতা হয় তাহলে এটা কিন্তু খুব চিন্তার বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি মেনে নেয় নির্বাচন হবে এবং সফল নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা বদল হবে তাহলে তো হয়ে যায়। এজন্যই নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয়। তাই নির্বাচন কমিশনকে যথাসম্ভব শক্তিশালী করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজটা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি শক্তিশালী হয় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
পরিচিতি: সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান